প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড়সড়ো বিপাকে বিজেপি নেতা মুকুল রায়। গতকাল শনিবার তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছে সিআইডি। তাঁর বিরুদ্ধে রানাঘাট আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে সিআইডি। সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে বিধায়ক হত্যার ষড়যন্ত্র জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এভাবেই, আগামী ভোটযুদ্ধের পূর্বে আইনি জটে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়।

প্রসঙ্গত গত ২০১৯ সালের ৯ ই ফেব্রুয়ারির সরস্বতী পুজোর ঠিক আগের রাতে নদীয়ার হাঁসখালিতে নিজের বাড়ির সামনেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে। এরপর বিধায়ক হত্যার মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি। তবে গত ২০১৯ সালের ১৪ ই জুন সিআইডি তিনজন সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। প্রমাণের অভাবে নিষ্কৃতি দেওয়া হয় দুজনকে। তবে, এই মামলার এফআইআরে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নাম সন্দেহভাজনের তালিকায় উঠে আসে। যদিও প্রথম চার্জশিটে তাঁদের নাম ছিল না।

এরপর চলতি বছরের গত ১৪ ই সেপ্টেম্বর এই মামলার বিষয়ে রানাঘাট আদালতে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছে সিআইডি। যেখানে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সাংসদকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) এবং ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় অভিযুক্ত করেছে সিআইডি। এই চার্জশিটে আরও জানানো হয়েছিল যে, বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হচ্ছে।

এরপর, গতকাল শনিবার রানাঘাট আদালতে মোট ৫ জন অভিযুক্তর নামে চার্জশিট দায়ের করা হলো। এই পাঁচজনের মধ্যে আছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে বিধায়ক হত্যার ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে জানানো হয়েছে। সিআইডি-র চার্জশিটে তাঁর নাম আসার পর ক্ষুব্দ হয়ে মুকুল রায় রাজ্যের পুলিশ তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভারপ্রাপ্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে জানিয়েছেন, ” হতেই পারে, কেন নয়? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে? চার্জশিটে নাম দিচ্ছে কে? দপ্তরের মন্ত্রী কে? জিজ্ঞাসা করুন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর নাম কি? তিনি জানেন না এই ঘটনায় কারা যুক্ত? তাঁরই নির্দেশে, তাঁরই অঙ্গুলিহেলনে যদি আমার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়, তবে এটা একটা বড় হাস্যকর ব্যাপার।’’

বিজেপি নেতা মুকুল রায় আরও জানিয়েছেন যে, সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে চলছে ৪৪ টি মামলা আছে। সমস্ত মামলা তিনি লড়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তাঁকে যথেষ্ট বিপাকে ফেলে দিতে পারে।