ফের বোমা ফাটালেন শুভেন্দু, মমতার উত্থানের পেছনে কার অবদান ছিল ফাঁস করলেন সেই তথ্য তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য January 5, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই নিজের প্রাক্তন দল সম্পর্কে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেই চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে যোগদানের পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাকে মীরজাফর এবং গদ্দার বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যে বিশ্বাসঘাতক নন, তার স্বপক্ষে বিভিন্ন সভা থেকে জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার ছোট আঙারিয়া দিবসে গড়বেতার সভা মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতা নেত্রীদের নাম করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিড়ম্বনা আরও বাড়িয়ে দিলেন সেই শুভেন্দুবাবু। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিগত দিনে বিজেপির সম্পর্কের কথা তুলে ধরে নিজের প্রাক্তন দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2001 সালের 4 জানুয়ারি ছোট আঙারিয়া গ্রামের তৃণমূল কর্মী বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে সিপিএমের পক্ষ থেকে গণহত্যা চালানো হয় বলে অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের থাকার সময় তিনি এই দিনটিকে স্মরণ করতেন। কিন্তু এবার তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তবে এবার শুভেন্দুবাবু বিজেপি নেতা হিসেবে এই গড়বেতায় সভার আয়োজন করেছিলেন। আর সেই সভা থেকেই নিজের প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যায় তাকে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “2001 সালের 3 ই জানুয়ারি কেশপুরে বিজেপি তৃণমূল যৌথ সভা ছিল। অনেকে আক্রান্ত হলেন। বাস ভাংচুরের ঘটনা ঘটল। সেদিন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী, ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার লালকৃষ্ণ আডবানি এনডিএর প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিলেন। ঘটনার সিবিআই তদন্ত হয়। আর সিঙ্গুরের অনশন ভেঙেছিলেন রাজনাথ সিংহের হাতে সরবত খেয়ে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে আমি ছিলাম। সেই সময় লালকৃষ্ণ আডবানি, সুষমা স্বরাজরা এসেছিলেন। তখন তো সব ঘরে ঢুকে গিয়েছিল। আমি অক্সিজেন দিয়ে আবার সব প্রতিষ্ঠা করেছিলাম।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী একথা বলে নেতৃত্বকে বার্তা দিতে চাইলেন। অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। এমনকি তৃণমূল প্রতিষ্ঠার পেছনে এবং এতদূর দল এগোনোর পেছনে বিজেপির যথেষ্ট অবদান রয়েছে। এদিনের সভা থেকে তা বুঝিয়ে দিতে চাইলেন বিজেপি নেতার শুভেন্দু অধিকারী। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিড়ম্বনাকে আরও বাড়িয়ে দিল বলেই দাবি বিশ্লেষকদের। এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষার্থে বিজেপি বরাবর সাথ দিয়েছে তৃণমূলকে। না হলে 2003 সালেই দলটা উঠে যেত। সেদিন ভারতরত্ন অটলবিহারী বাজপেয়ী দরজাটা খুলে না দিলে মাননীয়া আপনার পার্টির ঘাসটাই অনেক আগেই উপরে চলে যেত।” স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য এখন যে চর্চার চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেকে প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন, কেন দলে থাকার সময় এইসব কথা বলেননি শুভেন্দু অধিকারী! কেন দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই তিনি এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শুরু করেছেন! তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের মন্তব্য যে তৃণমূল কংগ্রেসকে যথেষ্ট বেকায়দায় ফেলে দিল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশ্লেষকরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -