এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > ফের দিল্লি সফরে রাজ্যপাল, ‌ কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা!

ফের দিল্লি সফরে রাজ্যপাল, ‌ কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মাঝেমধ্যেই সরব হতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান জাগদীপ ধনকারকে। তৃতীয় তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নানা বিষয়ে আরও বেশি করে রাজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। বিভিন্ন জেলা পরিদর্শনের পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়েছেন রাজ্যপাল। যার ফলে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে পৌঁছে গিয়েছে।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতি সময় দাবি করা হয়, রাজ্যপাল বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। আর এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে না দিতেই দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার জন্য সদলবলে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে সোমবার রাজভবনে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দীর্ঘক্ষণ রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায় তাকে। আর বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার পরদিনই আজ দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বাংলা সাংবিধানিক প্রধান। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যপালের এই দিল্লি সফরকে কেন্দ্র করে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকারের। আর দিল্লি পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তার। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন রাজ্যপাল বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বাংলার রাজ্যপাল প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন, এখন সেটাই ভাবাতে শুরু করেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। যেখানে প্রতি মুহূর্তে বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় রাজ্যপালকে, সেখানে তার এই দিল্লি সফর যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জানা গেছে, মোট তিন দিন দিল্লিতে থাকবেন রাজ্যপাল। আগামী 18 জুন বাংলায় ফিরে আসবেন তিনি।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা। তাই এই বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি বাংলায় হিংসার ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে, সেই বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন তিনি‌।

স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে শাসক দলের একাংশ রাজ্যপালের এই সফর নিয়ে কিছুটা হলেও উষ্মা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। মূলত, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পরেই রাজ্যপালের এভাবে তড়িঘড়ি দিল্লি সফরের পেছনে যে বড় কারণ রয়েছে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!