এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাংলার উন্নয়নে কেন্দ্রের টাকা ঢালতে মরিয়া বাবুল! দরকারি জমি দেবে না তৃণমূল? বাড়ছে দ্বন্দ্ব

বাংলার উন্নয়নে কেন্দ্রের টাকা ঢালতে মরিয়া বাবুল! দরকারি জমি দেবে না তৃণমূল? বাড়ছে দ্বন্দ্ব


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আসানসোলের বিজেপি সাংসদ ও সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় আসানসোল শহরের পরিবেশ রক্ষার জন্য শহরে একটি বনাঞ্চল তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু বনাঞ্চল তৈরি করতে গেলে প্রয়োজন যথেষ্ট পরিনাম জমি। অভিযোগ উঠেছে, এই প্রকল্পের জন্য আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির কাছে জমির আবেদন করেও মেলেনি জমি। যার ফলে বিতর্ক বেঁধেছে বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির।

প্রসঙ্গত, কেদ্রীয় সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় আসানসোল শহরের পরিবেসের ভারসাম্য রক্ষা, পরিবেশ দূষণ, ভূমিক্ষয় প্রতিরোধ ইত্যাদির জন্য তাঁর মন্ত্রকের পক্ষ থেকে শহরে বনাঞ্চল তৈরির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নগর ও বন যোজনা প্রকল্পের অধীনে এর কাজ চলবে বলে স্থির করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমি রাজ্য সরকার বা রাজ্য সরকারের অধীনস্থ স্থানীয় প্রশাসন দেবে। এবং এর জন্য অর্থ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন ৫০ হেক্টর জমি । প্রকল্পের রিপোর্ট মেলার পর কেন্দ্র ২ কোটি টাকা প্রকল্পের জন্য অনুমোদন করেছে করেছে বলে বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন।

কিন্তু সমস্যা বেঁধেছে এর জমি নিয়ে। বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন যে, গত ১৩ ই আগস্ট তিনি আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে এই প্রকল্পের বিষয়ে জানিয়ে প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমি চেয়েছিলেন। কিন্তু জমি দিতে অস্বীকার করেছেন মেয়র। এ কারণে প্রকল্পটি আটকে গেছে। বাবুল সুপ্রিয়ের কাছ থেকে প্রকল্পের জমির ব্যাপারে চিঠি পাবার কথা মেয়র জানিয়েছেন। কিন্তু সে সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়েছেন যে, তার পক্ষে প্রকল্পের জমি দেওয়া অসম্ভব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে প্রকল্পের জমি জটকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়েছে সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ও আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির মধ্যে। বাবুল সুপ্রিয় অভিযোগ করেছেন, ‘‘আমার সাংসদ এলাকার বাসিন্দাদের উপকারের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণের লক্ষ্যে জমি চাওয়া হলেও বাধা দিচ্ছেন মেয়র।’’ তবে এ প্রসঙ্গে মেয়রের দাবি, ” বাধা দেওয়ার অভিযোগ অসত্য। এখানে পুরসভা তথা রাজ্য সরকারের খুবই অল্প জমি আছে। যেটুকু রয়েছে, তা বিভিন্ন জনহিতকর উন্নয়নের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এই শিল্পাঞ্চলে রেল, সেল ও ইসিএল, এই তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার প্রচুর অব্যবহৃত জমি রয়েছে। সাংসদকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ওই তিন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে তাদের জমিতে এই প্রকল্প গড়ে তুলুন।’’

অন্যদিকে, প্রকল্পের জমিজট প্রসঙ্গে আসানসোল শহরের বেশকিছু পরিবেশকর্মী জানিয়েছেন যে, আসানসোল শহরের ভূগর্ভস্থ জল স্তর, পরিবেশের ভারসাম্য, অরণ্য সম্পদ সমস্ত কিছু নিয়েই বিপর্যয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত খনি এলাকায় ব্যাপক হারে ধস, ভূমিক্ষয় ঘটছে। গত কয়েক বছরে কাঁখোয়া, কাল্লা সহ আসানসোলের বেশ কিছু এলাকায় কমে গেছে ভূগর্ভের জলস্তর। যা পরিমাপ করে দেখা হচ্ছে পুরসভার পক্ষ থেকে । যে কথা জানালেন পুরসভার সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুকোমল মণ্ডল।

আসানসোল শহরের পরিবেশ রক্ষার জন্য রাজনীতি ছেড়ে কেন্দ্রের এই প্রকল্পকে গ্রহণ করা উচিত বলে অভিমত পরিবেশবিদদের। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প গ্রহণ না করলে, আসানসোলের প্রাকৃতিক পরিবেশ আরও বিপন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!