এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের কাজ হলো না মুখমন্ত্রীর কঠোর বার্তাতে ? ফের প্রকাশ্যে হুগলিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব,

ফের কাজ হলো না মুখমন্ত্রীর কঠোর বার্তাতে ? ফের প্রকাশ্যে হুগলিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব,


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  যেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, ঠিক তেমনটাই হল। হুগলির দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ করতে সেখানকার নেতা, বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই বৈঠকের 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবার সেই হুগলিতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। যার ফলে নেত্রীর নির্দেশকে মান্যতা দেওয়ার কথা বললেও, জেলার ফিরে গিয়ে নেতারা যে আবার একে অপরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে পড়েছেন, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বস্তুত, হুগলি জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সম্প্রতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। বিধায়ক থেকে শুরু করে সাংসদরা এমন সব মন্তব্য করতে শুরু করেছিলেন, যার ফলে অস্বস্তিতে পড়তে শুরু করেছিল দল। তাই এমতাবস্তায় সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অফিসে সেই হুগলি জেলার সমস্ত নেতা, বিধায়ক এবং সাংসদদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন। আর সেখানেই সকলকে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এখন থেকে হুগলি জেলা তিনি নিজে দেখবেন বলেও জানিয়ে দেন। তারপর আশা করা হয়েছিল যে, নেতারা অন্তত দলনেত্রীর কড়া বার্তার পর নিজেদের গন্ডগোল মিটিয়ে নেবেন। কিন্তু জেলায় ফিরতে না ফিরতেই আবার হুগলির তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। যার ফলে শত চেষ্টা সত্ত্বেও এই জেলার গোষ্ঠী কোন্দলকে সামলানো আদৌ সম্ভব কিনা, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

জানা গেছে, এদিন পান্ডুয়া ব্লক তৃনমূলের সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায় পান্ডুয়ার জিটি রোডের ধারে একটি স্কুলে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব, পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা হাজরা, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জীব ঘোষ সহ অন্যান্যরা। কিন্তু এই কর্মী সম্মেলনে অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনিসুল ইসলাম, ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজনকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি বলে খবর। যার ফলে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যেখানে বার্তা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে আর কোনো গন্ডগোল বরদাস্ত করা হবে না, সেখানে আবার নতুন করে কেন এইরকম গন্ডগোল সামনে এল! তা নিয়ে দলের অন্দরে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে যদি এই রকম ঘটনা ঘটতে শুরু করে, তাহলে কিভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিতে পারবে তৃণমূল কংগ্রেস, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।

কেন তারা এই কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, “আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না।” অন্যদিকে একই কথা শোনা গেছে সঞ্জয় ঘোষের গলায়। তিনি বলেন, “কর্মী সম্মেলনের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তাই যাইনি।” কিন্তু কেন এই সমস্ত নেতৃত্বদের জানানো হল না? যেখানে দল বলছে সকলকে নিয়ে চলতে, সেখানে কেন তিনি সকলকে নিয়ে এই কর্মী সম্মেলন করলেন না?

এদিন এই প্রসঙ্গে এই কর্মী সম্মেলনের উদ্যোক্তা ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “48 ঘণ্টার মধ্যে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছি। ব্লকের সব নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও ফোনের মাধ্যমে জানিয়েছি। তারা না এলে আমি কি করব!” তবে যে যাই বলুন না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধমক দেওয়ার পরেও যে হুগলি জেলার গোষ্ঠী কোন্দল মেটেনি, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!