এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের কুকথা, শালীনতার বাঁধ ভাঙলেন কল্যাণ, সমালোচনার ঝড় রাজ্যে!

ফের কুকথা, শালীনতার বাঁধ ভাঙলেন কল্যাণ, সমালোচনার ঝড় রাজ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  মাঝেমধ্যেই তার বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় রাজ্যে। বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রে শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। আর এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করতে গিয়ে শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে “খ্যাপা ষাঁড়” বলে কটাক্ষ করতে দেখা গেল তাকে। আর একজন জনপ্রতিনিধির গলায় এই ধরনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজ্য জুড়ে।

প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে গিয়ে যদি লাগাতারভাবে শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করতে শুরু করেন জনপ্রতিনিধিরা, তাহলে তা দুর্ভাগ্যজনক। তাই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট আইনজীবীর গলায় এই ধরনের মন্তব্য এখন যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বস্তুত, বর্তমানে দুর্যোগ-পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলকে লাগাতার কটাক্ষ করা হচ্ছে। ত্রাণ নিয়ে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত থেকে ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু পঞ্চায়েত যেখানে কাজ করছে, সেখানে রাজনীতির রং দেখা হচ্ছে। ত্রাণশিবিরে বলা হচ্ছে, বিজেপিকে ভোট দিয়েছো, কোনো সাহায্য পাওয়া যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ রাস্তায় শুয়ে আছেন।”

আর দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকেই কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে দিলীপ ঘোষরা অবাঙালি নেতাদের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছেন বলে আক্রমণ করতে দেখা গেছে কল্যানবাবুকে। আর এরপরই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আগে দিলীপ ঘোষকে পাগলা দিলীপ, ক্ষ্যাপা দিলীপ বলা হত। কিন্তু বর্তমান সময়ে তিনি খ্যাপা ষাঁড়ের মত দৌড়োচ্ছেন। পাগল মানুষের চিকিৎসা রয়েছে। কিন্তু খ্যাপা ষাঁড়ের কোনো চিকিৎসা নেই।” আর প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে গিয়ে কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের মন্তব্যকে নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলতে শুরু করেছেন, যদি এভাবেই বর্তমান জনপ্রতিনিধিরা রাজনৈতিক আক্রমণ অপেক্ষা ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি শিখবে? কিভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আগ্রহ তৈরি হবে বর্তমান রাজনীতি সম্পর্কে? কি বার্তা যাবে ভবিষ্যতের কাছে? একাংশ বলছেন, বক্তব্য প্রদানের দিক থেকে আরও নিষ্ঠাবান হওয়া উচিত রাজনৈতিক জনপ্রতি- নিধিদের। প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করা যেতেই পারে।

কিন্তু সেই আক্রমণ যেন এমন না হয়, যা বাংলা রুচিশীল মননে আঘাত করে। যে বাংলায় রবি ঠাকুর থেকে শুরু করে নজরুলের মত বিশ্ববন্দিত মানুষেরা জন্মগ্রহণ করেছেন, সেই বাংলার রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের মুখ থেকে যদি এই রকম মন্তব্য সামনে আসে, তাহলে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে শাসন ক্ষমতায় রয়েছে।

এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্র এবং নজরুলপ্রেমী হিসেবেই পরিচিত। তবে তার দলের নেতা এবং সাংসদ যদি প্রতিপক্ষকে এভাবে কুরুচিপূর্ণ শব্দ দিয়ে আক্রমণ করেন, তাহলে তৃণমূল নেত্রীর সংস্কৃতিপ্রেম যে নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সমালোচক মহলের একাংশ। সব মিলিয়ে কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!