ফের পিকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী আর এক বিধায়ক, ইনিও কি দল ছাড়তে চলেছেন বাড়ছে জল্পনার পারদ! উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য December 10, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময় কালে দলের ভরাডুবি আটকানোর জন্য বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতার দায়িত্ব দেন প্রশান্ত কিশোরের ওপর। প্রথমদিকে তৃণমূলকে জনমুখী করতে নানা কর্মসূচি নিতে দেখা যায় সেই প্রশান্ত কিশোরকে। তার নির্দেশ মত বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল “দিদিকে বলো” থেকে শুরু করে “বাংলার গর্ব মমতার” মত কর্মসূচি করে মানুষের কাছাকাছি পৌছতে শুরু করে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই সেই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে তৃণমূলের ঘরে-বাইরে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী সেই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। ব্যারাকপুরে তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত জানিয়ে দিয়েছেন, কর্পোরেট সংস্থাকে দিয়ে কোনোদিন কোনো দল জয়লাভ করতে পারে না। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেল জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক অনন্ত দেব অধিকারীকে। আর এখানেই তৃণমূলের চিন্তা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। যে প্রশান্ত কিশোরকে এনে সংগঠন শক্তিশালী হবে বলে মনে করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব, নির্বাচনের আগে সেই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে দলের জনপ্রতিনিধিরা সরব হওয়ায় কার্যত অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, এদিন তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী বলেন, ” পিকের কারণেই সংগঠনের ক্ষতি হয়েছে। উত্তরবঙ্গে দল হারলেই পিকের জন্যই হারবে। তাকে দিয়ে দলে বিভাজন তৈরী করা হচ্ছে। তার টিমে যারা নিযুক্ত আছে, তারা কেউ রাজনীতির লোক নয়। তারা গ্রামের মানুষের সঙ্গে মিশতে জানেন না। গণ আন্দোলন নিয়ে তাদের কোনো কর্মসূচি নেই। শুধুমাত্র দেনাপাওনা দিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করা যায় না।” জানা গেছে, ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দিয়েছেন এই তৃণমূল বিধায়ক। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য এবং প্রশান্তি সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে দেওয়া তৃণমূলের ঘুম যে অনেকটাই উড়িয়ে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একাংশ বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত এই অনন্তদেব অধিকারী। 2011 সালের ময়নাগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হন তিনি। কিন্তু সেই তৃণমূল বিধায়ক এবার প্রশান্ত কিশোরের টিমের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় দলের অন্দরে গুঞ্জন ক্রমশ বৃদ্ধি হতে শুরু করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রশান্ত কিশোরের কথাকে মান্যতা দিচ্ছেন, সেখানে জনপ্রতিনিধিরা যদি এভাবে সরব হতে শুরু করেন, তাহলে কিভাবে দলের সংগঠন শক্তিশালী হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের নানা সিদ্ধান্ত এবং বিভিন্ন জেলায় রদবদল নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। একের পর এক বিধায়ক থেকে শুরু করে হেভিওয়েট মন্ত্রীরা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে অনন্ত দেব অধিকারীর এইভাবে বিস্ফোরক মন্তব্য নতুন করে জল্পনার সৃষ্টি করল রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও বা তৃণমূল বিধায়কের এই ধরনের মন্তব্য করলেও তার পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “প্রশান্ত কিশোরকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। তিনি একজন স্ট্র্যাটেজিস্ট। তিনি লোকসভার ভোটের পরে এসেছেন।” অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে এখন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের চাপ যে ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু করেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। একের পর এক তৃণমূল বিধায়ক যেভাবে সেই রাজনৈতিক পরামর্শদাতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাতে তৃণমূল এই অস্বস্তি ঢাকতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান - একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -