এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অনুব্রতর সঙ্গে তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রীর প্রকাশ্যেই দ্বন্দ্ব! চূড়ান্ত অস্বস্তিতে শাসকদল?

অনুব্রতর সঙ্গে তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রীর প্রকাশ্যেই দ্বন্দ্ব! চূড়ান্ত অস্বস্তিতে শাসকদল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি রামপুরহাটের একটি কর্মীসভা থেকে বর্তমান বিধায়ক আশিস বন্দোপাধ্যায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে জানিয়ে দেন অনুব্রত মণ্ডল। যাকে কেন্দ্র করে তীব্র জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বলতে শুরু করেন, যেখানে তৃণমূলের প্রার্থী ঠিক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে কিভাবে অনুব্রত মণ্ডল আগেভাগেই এখানকার প্রার্থী কথা ঘোষণা করে দিলেন? এটা কি দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের মধ্যে পড়ল না? কিন্তু এবার অনুব্রত মণ্ডলের এই প্রার্থী ঘোষণা নিয়েই প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার এবং জনশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে অনুব্রত মণ্ডলকে দলের অনুশাসন বিরোধী এবং বিভাজন সৃষ্টিকারী বলে দাবি করেন তিনি। স্বভাবতই রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী যেভাবে অনুব্রত মণ্ডলের আগাম প্রার্থী ঘোষণা করা নিয়ে তার বিরুদ্ধে সরব হলেন, তাতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই রকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শাসক দলকে যেমন অস্বস্তিতে ফেলবে, ঠিক তেমনই বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেবে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

সূত্রের খবর, শুক্রবার সদাইপুর থানার যাত্রা গ্রামের মাদ্রাসার জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের একটি সভায় যোগ দিতে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। যেখানে অনুব্রত মণ্ডলের আগাম প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে সরব হতে দেখা যায় তাকে। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, “জমিয়তে এখনও তৃণমূলকে সমর্থন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রেখে। দলকে শক্তিশালী করতে হবে। কেউ যদি ভাবে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর দলের কেউ ঘাসপাতা খায়, তাহলে ভুল করবে। কিন্তু কেউ যদি দল বিক্রি করে খেতে চান, আর যা খুশি তাই বলেন, তা মেনে নেওয়া হবে না, সব আস্ফালনের জবাব পাবলিক দেবে। চাবুক মারুন পিঠে। দল থেকে সরে গেলে বোঝা যাবে তার 70 কেজি ওজন, না 5 কেজি ওজন। কবে নির্বাচন হবে তার দিনক্ষণ ঘোষণা নেই! আর একের পর এক সভায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়ে যাচ্ছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে আউসগ্রাম, কেতুগ্রাম এবং মঙ্গলকোটের পর্যবেক্ষক রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিন তার কাজকর্ম নিয়েও কটাক্ষ করতে শোনা যায় সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে। তিনি বলেন, “ওই তিন বিধানসভা এলাকা বীরভূমের নেতারা ক্যান্সার তৈরি করে দিয়েছেন। পচা আলু ভালো আলুকে পচিয়েছে। আমি তার প্রতিবাদ করছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন বড়। তাই পুরনো কর্মীদের এখনও ধরে রেখেছেন। সবাইকে নিয়ে চলেন। তার মানে কেউ যদি নিজেকে মহান ভেবে নেয়, তাহলে সে অংক বোঝে না।” অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডলের মত হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে যেভাবে সরব হলেন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, তাতে শাসকদল বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্যাপকভাবে অস্বস্তিতে পড়ল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যদিও বা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ অনুব্রত মণ্ডল। প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে তিনি বলেন, “আমি কোথাও কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষনা করিনি। সেই সব সভার ফুটেজ আছে। আমি দলের এলাকার জনপ্রিয় বিধায়কদের উন্নয়নের প্রসঙ্গে কথা বলেছি।” তার আরও দাবি, “উনি কি বলেছেন, তা আমার জেনে লাভ কি! আমি কোথাও কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষনা করিনি। আর কে কোথায় কি বলে গেল, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।” অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডলও নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। সব মিলিয়ে অনুব্রত মণ্ডল এবং সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। এখন এই দ্বন্দ্বের ফলে শাসকদল কতটা বিপাকে পড়ে এবং দুই হেভিওয়েট নেতার গন্ডগোল মেটাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!