এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের তৃনমূলকে বিঁধলেন শুভেন্দু, ফের ফাটল স্পষ্ট, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত!

ফের তৃনমূলকে বিঁধলেন শুভেন্দু, ফের ফাটল স্পষ্ট, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট -দলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী দূরত্ব ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। তবে সাম্প্রতিক কালে অধিকারী বাড়িতে প্রশান্ত কিশোরের যাওয়ার পর আশা করা হয়েছিল, শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব ধীরে ধীরে মিটতে শুরু করবে। কিন্তু এবার কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক মন্তব্য নিঃসন্দেহে জল্পনা বাড়িয়ে দিল বাংলার রাজনৈতিক মহলে। যেখানে বিগত দিনে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি থাকলেও, তিনি একমাত্র মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বলে দাবী করলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। বলা বাহুল্য, করোনা ভাইরাস থেকে শুরু করে ভয়াবহ দুর্যোগের পরবর্তী সময়কালে সরকারের পক্ষ থেকে নানা সুবিধা মানুষকে দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু সেই সময় বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, সাধারণ মানুষের পাশে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঠিকমত থাকছে না। তবে সেই সময় থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হয়। বিভিন্ন সময় এলাকার মানুষের পাশে নিজের মত করে সাহায্য নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। আর বর্তমান সময়কালে সেই দূরত্ব ক্রমাগত বাড়তে শুরু করায় জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব যদি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাদের দূরত্ব কমতে শুরু করবে বলে দাবি করেছিল একাংশ। কিন্তু আবার কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে যেভাবে এলাকার মানুষের পাশে তিনি সব সময় ছিলেন বলে দাবি করলেন এই তৃণমূলের শীর্ষনেতা, তাতে তিনি তার দলের একাংশের দিকেই কার্যত কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, শুক্রবার তমলুকে কালীপুজোর উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে মা কালীর গলায় জবা ফুলের মালা এবং রজনীগন্ধার মালা পরিয়ে দিয়ে আরতি করেন তিনি। আর এরপরই বক্তব্য রাখার সময় তিনি এলাকার মানুষের পাশে সবসময় ছিলেন বলে দাবি করেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই হেভিওয়েট নেতা। তিনি বলেন “কিছুদিন আগে আমপান হওয়ার পর এখানে কেউ আসেনি। আমি এখানকার মানুষদের দেখতে বারবার ছুটে এসেছি।” স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারের একজন হেভিওয়েট মন্ত্রী হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য নিয়ে এখন ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।

অনেকে বলছেন, শুভেন্দুবাবু এই কথা বলে বোঝাতে চাইলেন, যে তিনিই একমাত্র মানুষের পাশে আছেন। অন্য কেউ এখানে বিপদের সময় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী দল কিংবা সরকারের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে এই ধরনের মন্তব্য করে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে তারা এই মানুষের পাশে দাড়ায়নি! স্বভাবতই এই ইস্যুতে যখন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা চলছে, তখন তার এই ধরনের মন্তব্য দল কিংবা সরকারের সঙ্গে তার দূরত্বকে আরও তীব্র করল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূলে সাংগঠনিক রদবদল হওয়ার পর আশা করা হয়েছিল, শুভেন্দু অধিকারী বড় কোনো দায়িত্ব পাবেন। কিন্তু সেভাবে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। যার পর থেকেই দলের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছিল রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীর। সাম্প্রতিককালে নন্দীগ্রাম দিবসে তার বিভিন্ন মন্তব্য তৃণমূলের একাংশকে কটাক্ষ করেই বলে মনে করেছে একাংশ। পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে নন্দীগ্রামে আলাদা সভা করা হয়েছে।

আর এই পরিস্থিতিতে দল এবং সরকারের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দূরত্ব তৈরি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। তবে প্রশান্ত কিশোর সেই শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে যাওয়ায় মনে করা হয়েছিল, এবার বরফ গলতে শুরু করবে। কিন্তু কালীপুজোর উদ্বোধন করে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী এলাকার মানুষের পাশে তিনি ছাড়া আর কেউ থাকেননি বলে দাবি করলেন, তাতে দল কিংবা সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যেই তিনি এই মন্তব্য করে শোরগোল তুলে দিলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!