এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পাঁচিলের রং নীল-সাদা হবে না গেরুয়া – তা নিয়ে তীব্র কলহ শুরু কলকাতার বুকে

পাঁচিলের রং নীল-সাদা হবে না গেরুয়া – তা নিয়ে তীব্র কলহ শুরু কলকাতার বুকে


অনেকদিন আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রং হিসাবে নীল সাদা রং ব্যবহার হতে শুরু হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সরকারি সহযোগিতা প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান, রাস্তার লাইটপোস্ট থেকে শুরু করে পৌরসভা ভবন, সবকিছুই নীল সাদা রঙে ছেয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এর মধ্যেই হঠাৎ করে একটি প্রাচীরের রং গেরুয়া ঘেষা হওয়ায় চরম বিতর্ক সৃষ্টি হয় কলকাতার বিধাননগর পৌরসভার 31 নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে পার্কের একটি প্রাচীর রং করার কাজ সদ্যসমাপ্ত হয়েছিল।

সেই প্রাচীরের রং গেরুয়া হওয়াতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। অভিযোগ তুলতে শুরু করে শাসক শিবিরের ব্যক্তিরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয় নেতার কাছে খবর পৌঁছে যায়। আর এর পরেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেরি করেনি পৌরসভা। ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়ে তৎক্ষণাৎ গেরুয়া রংয়ের উপরে নীল সাদা রং করে দিতে বলা হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রের খবর, বিধাননগরের যে 31 নম্বর ওয়ার্ডে পার্কের ওই প্রাচীরের রং গেরুয়া হয়েছে, সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হলেন ভূতপূর্ব মেয়র তথা বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত।

জানা যাচ্ছে, সব্যসাচীবাবু যখন মেয়র ছিলেন এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন, তখনই ওই প্রাচীরের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে গেছে। পরবর্তীতে সেই সময় ওই প্রাচীর সংস্কারের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। এরপর সব্যসাচী বাবু ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন। তাই প্রাচীরের রং গেরুয়া ঘেষা হওয়াটাকে রাজনৈতিক রংয়ের বহিঃপ্রকাশ বলেও মনে করছে একাংশ। আবার সেই গেরুয়া রঙের উপরে নীল সাদা রঙের প্রলেপ দেওয়ার নির্দেশের মধ্যেও রাজনৈতিক রেষারেষির ভাব প্রকাশ পাচ্ছে বলে মত অনেকের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও সমগ্র ঘটনাকে পৌরসভার সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বিধাননগর পৌরসভার বর্তমান মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “কোনো রকম রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নেই। সংবাদমাধ্যম দ্বন্দ্ব তৈরি করার চেষ্টা করছে। কারণ পৌরসভার অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এলাকার সমস্ত পার্কের প্রাচীর নীল সাদা করা হবে। তাই সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া সিদ্ধান্ত মানতে সকলেই বাধ্য। সম্প্রতি অন্য আরেকজন কাউন্সিলর নিজের ইচ্ছা মত রং করেছিল। সেখানেও নীল সাদা রং করে দেওয়া হবে পৌরসভার তরফ থেকে।”

তবে কৃষ্ণা চক্রবর্তী যাই বলুন না কেন, 31 নম্বর বিধাননগর পৌরসভার কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত অবশ্য গোটা ব্যাপারকে শাসকদলের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “পুরো আইনে কাউন্সিলরদের অধিকার এবং কাজের ইতিহাস সম্পর্কে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে। তাতে উল্লেখ রয়েছে, কাউন্সিলরদের নিজের ওয়ার্ডে এরকম কাজের ক্ষেত্রে কি করতে হবে। পুরো অধিবেশনে আইনকে এড়িয়ে এভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।”

এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “যদি পুরো অধিবেশনে এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে তার নথি প্রকাশ করুক পৌরসভা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্য রাজনীতি এখন এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, ছোটো, মেজো, বড় কোনো জায়গাতেই রাজনৈতিক দলগুলি কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নয়। এখন প্রাচীরের রঙ নিয়ে এই রাজনৈতিক তরজা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে পৌঁছয়! সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!