এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানানোর মিছিল নিয়েও সংঘর্ষ বিজেপি-তৃণমূলে, এই নিয়ে অন্তত রাজনীতি বন্ধ হোক দাবি সাধারণের

জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানানোর মিছিল নিয়েও সংঘর্ষ বিজেপি-তৃণমূলে, এই নিয়ে অন্তত রাজনীতি বন্ধ হোক দাবি সাধারণের

জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানানোর মিছিলেও বাধ মানলো না তৃণমূল-বিজেপি লড়াই। দুই যুযুধান গোষ্ঠী সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই ৬ জন আহত হলেন। তৃণমূল-বিজেপি দুই দলই এই ঘটনার জেরে একে অপরকে দোষারোপ করছে। গোটা ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরে। পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় জওয়ানদের মৃত্যুতে কার্যত বাকরুদ্ধ গোটা দেশ। সাম্প্রতিক কালের সবথেকে বড় নৃশংস হামলা দেখে শিউরে উঠেছে দেশবাসী। গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শহীদ জওয়ানদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হচ্ছে নানান ভাবে।

সেরকম পিয়ারাপুরেও একই রকম একটা মিছিলের আয়োজন করেছিল বিজেপি। অপরদিকে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা একটা জলসার আয়োজন করেছিল বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। শোক মিছিলটি জলসার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মাইক বাজাতে বারণ করেছিল বিজেপি কর্মীরা। কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির কথায় পাত্তা না দিয়ে মাইক বাজালে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়, শেষে তা ধস্তাধস্তির পর্যায়ে চলে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল দিনভর উত্তপ্ত ছিল এলাকা। যেখানে পুলওয়ামার আত্মঘাতী হামলায় গোটা দেশ শোকস্তব্ধ সেখানে এই প্রেক্ষিতে তৃণমূল-বিজেপির এই রাজনীতিকে নোংরা বলেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন স্থানীয়রা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্তত শহীদ জওয়ানদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া নিয়ে কোনোরকম রাজনীতি চায় না সাধারণ মানুষ, এমনটাই সাফ জানিয়ে দিলেন স্থানীয়রা। প্রসঙ্গত, গতকালের ঘটনায় তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির কর্মীরাই আগে চড়াও হয়েছে তৃণমূল সমর্থকদের উপর। বাঁশ দিয়ে মেরে তৃণমূল কর্মীদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় দোকান, টোটো, লরিও ভাংচুর করা হয়, এমনকি রেহাই পাননি মহিলারাও। তাঁদেরও বাঁশ দিয়ে মাথায় তীব্র আঘাত করা হয়, এমনটাই অভিযোগ শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে। পিয়ারাপুর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সুদর্শন বর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এলাকায় দল অত্যন্ত শক্তিশালী। সেজন্য আমাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে।”

তবে এ অভিযোগ স্বীকার করতে নারাজ বিজেপি। পাল্টা দাবীতে গেরুয়া শিবির জানায়, প্রথমে তৃণমূলই তাঁদের উপর চড়াও হয়। আর তারপরই নিজেদের বাঁচাতে তৃনমূলের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপির কর্মীরা। শ্রীরামপুর সাংগঠনিক বিজেপি জেলা সভাপতি সুমন ঘোষ পাল্টা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশজুড়ে মিথ্যাচার করছেন। আর তাঁর কর্মীরাও মিথ্যাচার করে বেরাচ্ছেন। আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। তৃণমূলের লোকজন আমাদের হামলা চালায়।” গতকালের উত্ত্যক্ত পরিস্থিতি ঠান্ডা হয় ঘটনাস্থলে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ আসার পর। তবে পুলিশকেও এই ধস্তাধস্তির শিকার হতে হয় বলেই খবর রয়েছে।

পরে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল বাহিনী এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর যে কোনো ধরণের উত্তপ্ত পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। ওদিকে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটনার মূল কারণ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন চন্দননগরের কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী। তবে তৃণমূল-বিজেপির এই ধরণের ঘৃণ্য রাজনীতিকে যে কোনোভাবেই সমর্থন করছে না সাধারণ মানুষ সেটাই সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। জওয়ানের শ্রদ্ধা জানানোর মিছিলকে ঘিরেও কীভাবে রাজনৈতিক দলের নেতারা সংঘর্ষে লিপ্ত হতে পারেন সেটাই অবাক করছে তাঁদের!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!