গ্রাউন্ড জিরোর রিপোর্ট পেয়ে আরও প্রায় ১ সপ্তাহ বাদে উপনির্বাচনের কাটাছেঁড়া নিয়ে বসছে বিজেপি! কলকাতা রাজ্য December 8, 2019 ছয় মাস আগে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলা থেকে 18 টা আসন দখল করেছিল। যা দেখে অনেকে ভেবেছিল, এবার হয়ত পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখলের কাছাকাছি চলে আসতে শুরু করল ভারতীয় জনতা পার্টি। এমনকি বিজেপির পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়েছিল, “19 এ হাফ, 21 এ সাফ।” কিন্তু একুশে তৃণমূলকে সাফ করার স্লোগান বিজেপি নেতৃত্বের গলায় শোনা গেলেও ছয় মাস পরে হওয়া সদ্যসমাপ্ত রাজ্যের তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে কার্যত গোহারা হেরেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। করিমপুর তৃণমূলের ভরসাযোগ্য কেন্দ্র হলেও খড়গপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিজেপি দখল করবে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু ফলাফল প্রকাশে দেখা যায়, সেই সমস্ত জল্পনাকে মিথ্যে করে দিয়ে তিন আসনেই শেষ হাসি হাসেন ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থীরা। যা রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলে দেয় বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে। এদিকে তিন বিধানসভা আসনে হারের পরেই বিজেপি নেতৃত্বের গলায় শোনা যায় পর্যালোচনায় বসার কথা। কিন্তু দিনের পর দিন, সময়ের পর সময় চলে গেলেও এখনও পর্যন্ত এখনো পর্যন্ত হাড়ের ময়নাতদন্ত করতে বৈঠকে বসতে পারল না ভারতীয় জনতা পার্টি। মূলত গ্রাউন্ড জিরোর রিপোর্টের অভাবের জন্য বৈঠক সংগঠিত করা যায়নি বলে মনে করছে একাংশ। তবে এবার অবশেষে 3 কেন্দ্রে হারের জন্য দলের তিন সাধারণ সম্পাদককে ময়দানে নামিয়ে সেই নিচুতলার রিপোর্ট সংগ্রহ করে আগামী বৃহস্পতিবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বস্তুত, গত 25 নভেম্বর খড়গপুর, করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর 28 শে নভেম্বর ফলাফল প্রকাশে 3 কেন্দ্রেই জয় লাভ করে তৃণমূল প্রার্থীরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এরপরই 3 কেন্দ্রে কেন বিজেপির প্রার্থীরা হারল, তা জানতে তিনজন সাধারণ সম্পাদককে 3 কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব। যেখানে করিমপুরে পাঠানো হয় সঞ্জয় সিংহ, কালিয়াগঞ্জে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং খড়্গপুরে পাঠানো হয় সায়ন্তন বসুকে। সূত্রের খবর, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রের রিপোর্ট গ্রাউন্ড জিরো থেকে সংগ্রহ করে তা রাজ্যের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জমা দেবেন তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি বিজেপি নেতৃত্ব অবিলম্বে এই হারের পর্যালোচনা না করে, তাহলে ভবিষ্যতে তাঁদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো অত্যন্ত সমস্যা হবে। তাই অবিলম্বে 3 কেন্দ্রের রিপোর্ট নিয়ে সাধারণ সম্পাদকরা রাজ্যের কাছে জমা দিয়ে ফলাফল পর্যালোচনা করুক বলে দাবি বিজেপির একাংশের। তবে এই ফলাফল পর্যালোচনা বৈঠকে কিসের জন্য 3 কেন্দ্রে দলের প্রার্থীদের পরাজয় হল! আর সেই ব্যাপারে ঠিক কি উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। কিন্তু, যেখানে গেরুয়া শিবিরের তরফে দাবি করা হচ্ছে, ২০২১-এর নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের নাকি নবান্ন থেকে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা! সেখানে উপনির্বাচনের তিন-তিনটি আসনে এইভাবে মুখ থুবড়ে পড়ার পরেও যেন সেইভাবে হেলদোল নেই গেরুয়া শিবিরের! বিশেষ করে কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুরের মত আসন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ৫০ হাজারের বেশি বা কাছাকাছি লিড থাকা সিটও এখন বিজেপির কাছে সেফ নয়! তাও সেই পরাজয়ের ময়নাতদন্তে এত দীর্ঘসূত্রিতা অনেক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই! আপনার মতামত জানান -