এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > পরিবেশ বাঁচাতে ঠিকাদারদের জন্য কড়া দাওয়াই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের

পরিবেশ বাঁচাতে ঠিকাদারদের জন্য কড়া দাওয়াই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের


এবার পুরুলিয়ায় সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গেলো পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। সৌন্দর্যায়ন কর্মসূচিকে মাথায় রেখেই এদিন তিনি পুরুলিয়া পুরসভায় হাজির হয়। মূল রাস্তা থেকে পায়ে হেঁটেই ঢোকেন পুরসভার অফিসে। সেখানে চেয়ারম্যানের অফিস রুমে বসেই কাউন্সিলারদের সঙ্গে সেরে নেনে গুরুত্বপপূর্ণ বৈঠক। জানা গেছে এই মিটিং শুধু তৃণমূল তরফের কাইন্সিলার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিরোধী পার্টির কাউন্সিলাররাও। হাজির ছিলেন কাউন্সিলার তথা পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ও।
এই বৈঠকেই সুদীপবাবু জানান যে কীভাবে পুরসভা সৌন্দর্যায়নকে সামনে রেখে পাম গাছ লাগিয়ে দুর্নীতি করা হচ্ছে। বেশীরভাগ গাছ মরে যাওয়ার বিষয়টিও পুরমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন তিনি। এর পাশাপাশি, বৈঠকে উপস্থিত এক মহিলা কাউন্সিলারও জানান যে, পুরসভার উন্নয়নের টাকা দিয়েই নাকি অন্যায়ভাবে কর্মীদের বেতন দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়গুলো অবিলম্বে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন পুরমন্ত্রী। এছাড়া বেআইনিভাবে উন্নয়নের টাকায় মাইনে দেওয়া বন্ধ করারও নির্দেশ দেন এদিন। এর পাশাপাশি,পুরসভার আয় কীভাবে বাড়তে পারে সে বিষয়ে সঠিক পথ বাতলে দেন তিনি। এছাড়া পুরুলিয়া শহরের বিভিন্ন রাস্তার মেরামত এবং নতুন করে তৈরির জন্য ডিপিআর তৈরিরও নির্দেশ দেন পুরমন্ত্রী। এমনটাই জানা যাচ্ছে, পুরুলিয়া পুরসভা সূত্রের খবরে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

পুরমন্ত্রী পুরুলিয়ার সৌন্দর্যায়নের জন্য যেসব ঠিকাদার সংস্থা পাম গাছ লাগিয়েছে, তাঁদেরকেও কড়া নির্দেশ দিলেন এদিন মরে যাওয়া গাছ গুলোকে সরিয়ে সেই স্থানে অবিলম্বে নতুন গাছ লাগাতে। এবং এটাও জানিয়ে দিলেন যে এই নির্দেশকে উলঙ্ঘন করা হলে ওই সংস্থাকে ‘ব্ল্যাক লিস্টেড’ করা হবে। এছাড়া তিনি মিডিয়ার সামনে আরো বললেন যে, পুরুলিয়া শহরের আপাতত ২৩০০বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তাঁরা। এটার বাস্তবায়নের জন্য,জল রঘুনাথপুর থেকে পাইপলাইনে পুরুলিয়ায় এনে সরবরাহ করার বিষয়েও ভাবনা চিন্তা চলছে। ওদিকে, গ্রিন সিটি নামক প্রকল্পের দ্বারা শহরের জলাশয়গুলির সৌন্দর্যায়নের জন্য ডিপিআর তৈরি করার নির্দেশ দেওয়ার কথাও জানালেন পুরমন্ত্রী। শহরের যানজট কমাতেও নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন পুরমন্ত্রী। তবে সৌন্দর্যায়নের কাজ করতে গিয়ে পরিবেশের ক্ষতি করে কোথাও জলাশয় বুজিয়ে ফেলা বা জলাশয়ের আয়তন কমানোতে একদমই সম্মতি নেই মন্ত্রীর। অন্যদিকে, পুরুলিয়ার সাহেববাঁধে ফ্লোটিং মার্কেট তৈরি করা যায় কিনা তা নিয়েও একটা ভাবনাচিন্তা চলছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরে। এছাড়াও রয়েছে সাহেববাঁধে সিকারা চালানোর পরিকল্পনা। এদিন কাউন্সিলারদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গেও পুরমন্ত্রী জানান যে, “কাউন্সিলাদের কাজের সুবিধা অসুবিধার পাশাপাশি শহরের উন্নয়নের কাজের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।” পুরুলিয়া শহরকে নতুন রূপে দেখতে উত্তেজনা কিছু কম নেই শহরবাসীর মধ্যে। সবাই আপাতত চোখে রেখেছেন এই সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের দিকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!