এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আপাতত বিরোধ উধাও! ফিরহাদ হাকিমের দেখানো পথেই চলবেন এই বিরোধী নেতা ! বাড়ছে ক্ষোভ

আপাতত বিরোধ উধাও! ফিরহাদ হাকিমের দেখানো পথেই চলবেন এই বিরোধী নেতা ! বাড়ছে ক্ষোভ


রাজ্যের মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভাগুলোতে এখন প্রশাসক বসিয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রথমে কলকাতা পৌরসভায় সেখানকার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে প্রশাসক করেছে রাজ্য। যার পরেই তার বিরোধিতা করতে দেখা যায় গেছে বামফ্রন্ট সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলকে। তবে পরবর্তীতে শিলিগুড়ি পৌরসভা বামেদের থাকায় সেখানে প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে। তবে কলকাতা পৌরসভায় প্রশাসক বসানোর সময় বামেরা এর বিরোধিতা করায় শিলিগুড়ি পৌরসভায় তাদের নেতা অশোক ভট্টাচার্যকে প্রশাসক করলেও, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধিতা করে যেতেই হবে বলে দলীয় স্তরে আলোচনা সেরে ছিল বামফ্রন্ট।

কেননা এক্ষেত্রে যদি শিলিগুড়ি পৌরসভায় অশোক ভট্টাচার্যের প্রশাসক পদে বসার পর রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করা না হয়, তাহলে বামফ্রন্টের নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে জনমানসে। আর সেদিকটি তুলে ধরেই বামেদের তরফ থেকে বিরোধিতা করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে বামফ্রন্টকে প্রবল অস্বস্তিতে ফেলে দেন অশোক ভট্টাচার্য। প্রথমে প্রশাসক বোর্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের উপস্থিতি নিয়ে বিরোধিতা করতে দেখা যায় তাকে।

পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তা সংশোধন করে পাঠানো হলে তাকে স্বাগত জানান অশোকবাবু। প্রশাসক পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। আর এর ফলে সেই অশোক ভট্টাচার্যের ভূমিকা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। আর বার কলকাতা পৌরসভার মডেলেই শিলিগুড়ি পৌরসভা পরিচালনা করতে চান বলে বার্তা দিলেন সেই অশোক ভট্টাচার্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “শহরের মৌলিক পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে প্রাক্তন কাউন্সিলরদের কাজে লাগানো হবে। তাই কলকাতা পৌরসভার মত এখানেও প্রাক্তন কাউন্সিলরদের ওয়ার্ড অর্ডিনেটর করা হবে।” অর্থাৎ কলকাতা পৌরসভায় ফিরহাদ হাকিম যে নিয়ম লাগু করেছেন, সেই একই নিয়ম যে এবার অশোক ভট্টাচার্য করলেন, তা তার কথা থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর অশোক ভট্টাচার্যের কলকাতা পৌরসভার থেকে নিয়ম নেওয়ার ফলে এখন বামফ্রন্টে অশোক ভট্টাচার্যকে নিয়ে ক্ষোভ বাড়তে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এদিন অশোকবাবু বলেন, “পৌরসভার সদস্যরা যে পদে ছিলেন, সেই পদেই থাকবেন। রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দেওয়া, নাগরিকদের সমস্যা শোনা, জঞ্জাল সাফাইয়ে নজর দেওয়া সহ মৌলিক পরিষেবা প্রদানের কাজ করবেন। এজন্যই প্রাক্তন কাউন্সিলরদের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর করার পাশাপাশি ওয়ার্ড অফিস সচল রাখা হবে। মাসে দুবার করে প্রশাসক বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক হবে।” কিন্তু যেভাবে তিনি প্রশাসক পদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাকে নিয়ে দলের অন্দরে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে, তাতে তিনি কি দলের চাপে পড়েছেন না?

এদিন এই প্রসঙ্গে চাঁচাছোলা জবাব দিয়েছেন সেই অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “অন্য সময় হলে পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের প্রস্তাব গ্রহণের প্রশ্নই উঠত না। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ভোট করা সম্ভব নয় বলেই বোর্ডের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। তবে দাসখত দিয়ে আসিনি। বরং এই দায়িত্ব নেওয়া মানে কাঁটার মুকুট মাথায় চেপেছে। এখন জীবন-জীবিকা অর্থনৈতিক সংকট চরমে উঠেছে। তা হলেও আমাদের দায়িত্ববোধ আছে। তাই পালিয়ে না গিয়ে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। তবে কংগ্রেসের বিষয়ে কিছু বলব না। বিষয়টি বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান দেখছেন।”

জানা গেছে, এদিন পৌরসভায় প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করেছেন পৌরসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বামফ্রন্টের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও অশোক ভট্টাচার্য সরকারের অনুরোধে পৌরসভার প্রশাসক পদ গ্রহণ করেছেন। যার ফলে একসময় কলকাতা পৌরসভায় প্রশাসক নিয়ে বিরোধিতা করা বামফ্রন্ট কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে।

তবে এবার কলকাতা পৌরসভাকেই মডেল হিসেবে ধরে নিয়ে সেখানে যেমন ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছিল, ঠিক তেমনই নিজের পৌরসভাতেও প্রশাসক হয়ে সেই নিয়ম তৈরি করে কলকাতা পৌরসভাকে অনুসরণ করছেন অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্য। আর একের পর এক রাজ্য সরকারের পথ অনুসরণ করায় সিপিএমের মধ্যে অশোকবাবুকে নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!