প্রশাসনিক স্বচ্ছতা – নতুন চেয়ারে বসেই টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে বড়সড় ঘোষণা ফিরহাদ হাকিমের কলকাতা রাজ্য December 12, 2018 এবার টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করলেন কলকাতা পৌরসভার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। সূত্রের খবর, গতকাল কলকাতার পুরভবনে কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পের কর্তা ব্যক্তিদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসেন মেয়র। আর সেইখানেই তিনি কেইআইপি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেন। জানা গেছে, রাজ্য সরকারের অর্থ দপ্তরের নিয়ম বিধি অনুযায়ী টেন্ডার না হওয়াতেই এদিন এই কেইআইপি কর্তৃপক্ষ মেয়রের ক্ষোভের মুখে পড়েন। এদিনের এই বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ‘প্রোকিওরমেন্ট গাইডলাইন’ অনুযায়ী শহরের কেইআইআইপির কাজে টেন্ডার প্রক্রিয়া হচ্ছে? কেনই বা অর্থ দপ্তরের নিয়ম বিধি মেনে কাজ করা হচ্ছে না”? মেয়রের এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েই ব্যাপারটি যাতে সহজেই মেটানো যায় সেজন্য উত্তরে কেইআইআইপি কর্তারা বলেন, “এডিবি যেহেতু ঋণ দিচ্ছে, তাই তাদের নিয়ম বিধি অনুযায়ীই কাজ করতে হচ্ছে। এতদিন এই ভাবেই কাজ করে আসা হয়েছে”। আর এরপরেই ফিরহাদ হাকিম বলেন, “অতীতে যা হয়েছে তা ছাড়ুন। এবার থেকে কেআইআইপির বাকি কাজ করতে হবে রাজ্য সরকারের ফিনান্স রুল মেনেই”। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, টেন্ডার প্রক্রিয়া সহ অন্যান্য কাজে রাজ্য সরকারের ফিনান্স রুলকে মান্যতা দিয়ে পুর প্রশাসন এখন যে সমস্ত কাজ করছে তা আগের থেকে অনেকটাই সহজলভ্য ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। জানা গেছে, বর্তমানে এডিবির ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা এবং পানীয় জল পরিষেবার উন্নয়নের কাজ চলছে। কিন্তু দেখা গেছে, সেই কাজে কোথাও ২৫% কোথাও ৬০% কাজ হয়েছে, আবার কোথাওবা কাজই এগোয়নি। এদিনের বৈঠকে এই পৃথক কাজ বন্ধ করবার নির্দেশ দেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেইআইআইপির কাজ সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট আমার কাছে দিতে বলেছি। বিক্ষিপ্তভাবে এদের কাজ করতে নিষেধ করেছি। এলাকা ধরে ধরে কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার দায়িত্ব পেয়েই টেন্ডার নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন ফিরহাদ হাকিম। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা পুরসভায় ফিসফিসানি শুরু হয়ে গেছে – প্রশাসনে স্বচ্ছতা আনতে ক্রমশ কড়া হচ্ছেন নতুন মেয়র। আপনার মতামত জানান -