এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দ গুলিয়ে ফেলে তৃণমূলের জন্য নতুন অস্বস্তি ডেকে আনলেন ফিরহাদ হাকিম!

রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দ গুলিয়ে ফেলে তৃণমূলের জন্য নতুন অস্বস্তি ডেকে আনলেন ফিরহাদ হাকিম!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অতীতে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙ্গা থেকে শুরু করে সহজপাঠ, বর্ণপরিচয় নিয়ে মন্তব্যের জন্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি ছিল, বাংলার সংস্কৃতি জানে না বিজেপি। তাই উল্টোপাল্টা কথা বলছে। এক্ষেত্রে দিলীপবাবু নানা মহলে সমালোচিতও হয়েছিলেন। কিন্তু তারা বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি জানে বলে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করলেও, এবার যেভাবে কবিগুরুর বাণীকে বিবেকানন্দের বাণী বলে চালিয়ে দিলেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তাতে রীতিমত বিতর্কও তৈরি হল।

বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে গিয়ে যেভাবে রবীন্দ্রনাথের একটি উক্তিকে বিবেকানন্দের উক্তি বলে দাবি করলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী, তাতে তৃণমূলের বাংলা-প্রীতি নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু কি এমন মন্তব্য করেছেন ফিরহাদ হাকিম? যা নিয়ে এত বিতর্ক তৈরি হয়েছে? সূত্রের খবর, বাংলার প্রতি বঞ্চনা নিয়ে এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন রাজ্যের পুরমন্ত্রী। যেখানে তিনি বলেন, “এখন যে কেন্দ্রীয় সরকার, সে বাংলার বিরুদ্ধে বঞ্চনা করছে বাংলাকে। 53 হাজার কোটি টাকা কোম্পানির টাকা বা অন্য কিছু টাকা দিচ্ছে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরও বলেন, “এটা নিয়ে বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সরব হচ্ছেন। কিন্তু বাংলা কোনমতেই মাথা নত করবে না।” আর এরপরই মনীষীদের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এই বাংলা রবীন্দ্রনাথের। এই বাংলা বিবেকানন্দের। এই বাংলা মাথা তুলে দাঁড়াবে। কারণ বিবেকানন্দ শিক্ষা দিয়েছে, “where head is high and mind is without fear.” আর বিবেকানন্দের উক্তি বলে রবি ঠাকুরের উক্তিকে বসিয়ে দেওয়ায় এখন তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অনেকে বলছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ যেথা শির।

কিন্তু সেটাকে যেভাবে বিবেকানন্দের উক্তি বলে মন্তব্য করলেন ফিরহাদ হাকিম, তাতে এখন চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একাংশের মতে, এখন ফিরহাদ হাকিমের এই মন্তব্য নিয়ে বিরোধীরা তৃণমূলকে যে পাল্টা কটাক্ষ করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যে দল বাংলার সংস্কৃতি এবং কৃষ্টি নিয়ে এত গর্ব বোধ করে, সেই দলের মুখ থেকে কবিগুরুর বাণী কি করে বিবেকানন্দের হয়ে গেল! তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বাংলার বিদ্বজনদের মধ্যে। সব মিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের এক বছরও বাকি না থাকায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ক্রমশ টানটান হয়ে উঠছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!