এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জমজমাট বঙ্গ রাজনীতি! দিল্লি উড়ে গেলেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক, গড় সামলাতে আসরে স্বয়ং ফিরহাদ

জমজমাট বঙ্গ রাজনীতি! দিল্লি উড়ে গেলেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক, গড় সামলাতে আসরে স্বয়ং ফিরহাদ


একসময় তৃণমূলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা, বিধায়ক থাকার পাশাপাশি বিধাননগর পৌরসভার মেয়র ছিলেন তিনি। তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় মতানৈক্যের জন্য বেশ কিছুদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন সব্যসাচী দত্ত। তবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সেভাবে তিনি গুরুত্ব না পাওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে আরও কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।

তবে সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নেন সেই সব্যসাচী দত্ত। আর বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পাওয়ার পর থেকেই সংগঠনকে সাজানোর দিকে মনোযোগী হয়েছেন তিনি। যা কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এমতাবস্থায় প্রাক্তন এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তৃণমূলের ঘর ভাঙতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার নিজেদের ঘর সামলাতে মাঠে নামলেন তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

সূত্রের খবর, বিজেপির রাজ্য কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতেই তিনি দিল্লি উড়ে গেছেন। সেখানে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা তাঁর। আর সেই খবর সামনে আসতেই এবার জল্পনা শুরু হয়েছে, সব্যসাচী দত্তকে সামনে রেখেই কি এবার তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন ধরানোর পরিকল্পনায় আছে গেরুয়া শিবির? কেননা তিনি বিধাননগরের পাশাপাশি কলকাতাতেও সমানভাবে রাজনৈতিক গুরুত্ব দিতে চলেছেন বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এদিকে, বৃহস্পতিবার রাজারহাট- নিউটাউনের নানা গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধি এবং দলীয় নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী। আর সেখানেই কিছুটা সতর্ক করে দিয়ে সকলকে সাবধানে হওয়ার পরামর্শ দেন ফিরহাদ হাকিম। বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি সকলকে জানিয়ে দেন, দল 24 ঘন্টা নজর রাখছে। কেউ যদি যোগাযোগ রাখেন, তবে তিনি দল ছেড়ে দিতে পারেন।

আর তৃনমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের এই সতর্কবার্তা ঘিরে এবার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। অনেকে বলছেন তৃণমূল হোক বা বিজেপি, সব্যসাচী দত্ত আজও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিজেপিতে যোগদানের পর সেভাবে পদ না পাওয়ায় তাকে তাচ্ছিল্য করতে শুরু করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা। কিন্তু সম্প্রতি বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি গঠনের পর সেই সব্যসাচী দত্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হওয়ার পরেই তৃণমূলের অন্দরে কি ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে?

এই প্রশ্নটাই তুলে দিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর তাই কি এদিন সেই সব্যসাচী দত্তের পদ পাওয়ার পর নিজেদের ঘর সামলাতে তার বিধানসভা কেন্দ্রে এসে দলের সকলকে সতর্ক করে দিতে বাধ্য হলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে, বঙ্গ রাজনীতিতে এখন একটাই কৌতূহল – তৃণমূলের ঘর ভাঙার খেলায় বাজিমাত করবেন সব্যসাচী দত্ত? নাকি নিজেদের গড় রক্ষা করে নিজের ক্যারিশমা দেখিয়ে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক ফিরহাদ হাকিম? উত্তরটা হয়ত খুব শীঘ্রই পাওয়া যাবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!