কোন পথে বাজিমাত? দলীয় নেতাদের সেই “জাদুমন্ত্র” বুঝিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম কলকাতা রাজ্য November 17, 2019 লোকসভা নির্বাচনে আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপির ভোটব্যাংক রাজ্যে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলা থেকে 18 টি আসন দখল করার পর বিধানসভার আগে তারা চেয়েছিল কলকাতা পৌরসভা দখল করতে। সেই মত বর্তমানে নানা প্রস্তুতিও শুরু করেছে তারা। তৃণমূল পরিচালিত কলকাতা পৌরসভার বিরুদ্ধে যে কোনো ইস্যু পেলেই তেড়ে-ফুঁড়ে ময়দানে নামতে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। লোকসভায় পর্যদুস্ত হওয়ার পর তৃণমূলের ভাবমূর্তি সাধারণ মানুষের কাছে স্বচ্ছ করতে “দিদিকে বলো” কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে গোটা তৃণমূল দলকে ময়দানে নামিয়ে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। আর এবার কলকাতা পৌরসভা নির্বাচনের আগে সেই প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মতই কাউন্সিলরদের এগিয়ে যেতে বললেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সূত্রের খবর, এদিন সন্ধ্যায় হরিশ মুখার্জি রোডের “জয়হিন্দ ভবন” কমিউনিটি হলে তৃণমূলের তরফে দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আর সেখানেই তৃণমূলের প্রশান্ত কিশোরের জনসংযোগ মূলক বার্তা দলীয় কাউন্সিলরদের কাছে পৌঁছে দেন ফিরহাদ হাকিম। সূত্রের খবর, এদিনের এই বৈঠকে রাজ্যের পুরমন্ত্রী বলেন, “আগামী 30 নভেম্বরের মধ্যে কাউন্সিলরদের তাদের নিজ নিজ ওয়ার্ডের চারটি বুথে দিদিকে বলো কর্মসূচি পালন করতে হবে। 72 ঘণ্টার মধ্যে সেই চারটির মধ্যে একটি কর্মসূচি পালন করতে হবে।” জানা গেছে, এই কর্মসূচিতে চারটি বুথের মধ্যে দুটির ক্ষেত্রে পাঁচজন করে যে 10 জন বিশিষ্টদের সঙ্গে কাউন্সিলরদের যোগাযোগ করতে হবে, তার তালিকাও তাদের হাতে তুলে দেয় তৃণমূল। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে কলকাতা পৌরসভা এলাকায় ডেঙ্গুর উপদ্রব শুরু হয়েছে এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেভাবে বিরোধীরা ময়দানে নামছে, তাতে কি পৌরসভা নির্বাচনের আগে তা তৃণমূলকে বিপাকে ফেলবে না! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন সেই ডেঙ্গুর ব্যাপারেও সকলকে সতর্ক থাকার বার্তা দেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “প্রতিটি ওয়ার্ডের পাড়ায় পাড়ায় ডেঙ্গু সচেতনতা যাত্রা করতে হবে। কাউন্সিলরদের আরও বেশি করে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।” অন্যদিকে বস্তি এলাকার উন্নয়নে যাতে কোনরূপ খামতি না থাকে, তার ব্যাপারেও এদিন সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী। পাশাপাশি জল, নিকাশি ব্যবস্থা এবং আলো নিয়েও কাউন্সিলরদের দৃষ্টি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এদিনের বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট ভাষায় বলে দেন, “টাকা পাবেন, কিন্তু কাজ যেন সব শেষ হয়।” আর রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরসভার মেয়রের এই কথা থেকেই স্পষ্ট যে, যেন-তেন প্রকারেণ কলকাতা পৌরসভা দখল করতে এবার তৃণমূল তাদের জনসংযোগ কর্মসূচিতে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়ল। বিজেপি যখন কলকাতা পৌরসভার তৃণমূলের প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিজেদের দলে টেনে নিয়েছে, ঠিক তখন গেরুয়া শিবিরের হাওয়া ফিকে করতে জনসংযোগ এবং উন্নয়নের ওপরই ভরসা রাখছে রাজ্যের শাসক দল। আর তাইতো এদিনের বৈঠক থেকে দিদিকে বলো কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মন জয়, আর উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন ফিরাদ হাকিম। তবে রাজ্যের পুরমন্ত্রী কাউন্সিলরদের এই নির্দেশ দিলেও তা কতটা পালন করেন সেই কাউন্সিলররা এবং তার প্রভাব আগামী পুর নির্বাচনে ঠিক কতটা পরে! সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -