ফিরহাদ-মদনরা সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হতেই নিজাম প্যালেসে ছুটলেন মমতা! পারবেন বাঁচাতে? কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য May 17, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরেও শান্তি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করে হয়ত বা ক্ষমতা দখল করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু ভোটের ফলাফল পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের অতি সক্রিয়তা থেকে শুরু করে আজ একাধিক বিধায়ক এবং মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার, রীতিমত বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিল তৃণমূল নেত্রীর। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সকালেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নারদা কান্ডের জন্য গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে সুব্রত মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মদন মিত্র, এমনকি প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে তলব করেছে সিবিআই। আর এই পরিস্থিতিতে একাধিক নেতাকে তলব এবং ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেপ্তারের খবর শুনেই রীতিমত ময়দানে নেমে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাতসকালে কনভয় নিয়ে ছুটে গেলেন নিজাম প্যালেসে। অর্থ্যাৎ নিজের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা নেতা এবং মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার যে তিনি কোনোমতেই মেনে নেবেন না এবং এর বিরুদ্ধে যে তিনি আবার প্রতিবাদ শুরু করবেন, তা সাতসকালে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে উপস্থিত হয়ে কার্যত বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, গোটা ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নির্বাচনে পরাজয় হয়েছে। তাই বিজেপি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। আর সেই কারণে রাজ্যের সরকারকে মেলাইন করতে একের পর এক নেতা এবং মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এমনকি এর বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদে নামতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। এদিকে নিজের সদ্যগঠিত মন্ত্রিসভার একের পর এক সদস্যদের গ্রেফতার যে তার কাছে বড় অস্বস্তির কারণ, তা বুঝতে পেরেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে কোনোমতেই গোটা পরিস্থিতিকে হাতের বাইরে বের করে দিতে চান না তিনি। তাই তড়িঘড়ি ময়দানে নেমে গ্রেপ্তার হওয়া নেতা এবং মন্ত্রীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজাম প্যালেসে উপস্থিত হলেও তিনি আদৌ গ্রেপ্তার হওয়া রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী সহ অন্যান্য নেতাদের রক্ষা করতে পারবেন কিনা, সেটাই এখন প্রধান প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এক্ষেত্রে তিনি যদি এইভাবে নিজের মন্ত্রীদের বাঁচাতে আইনের ঊর্ধ্বে উঠে ময়দানে নেমে পড়েন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আবার সরব হতে পারে বিরোধীরা। এমনকি রাজ্যের আইন শৃংখলার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিতে পারেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। ফলে রাজ্যের মন্ত্রীদের বাঁচানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এইভাবে ময়দানে নামাকে সমালোচক মহলের একাংশ কিভাবে নেবে, তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। কিন্তু এর আগেও রাজীব কুমারকে যখন সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আটক করা হয়েছিল, তখন দীর্ঘদিন কলকাতার রাস্তায় ধরনায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার তার প্রতিবাদে মুখ দেখেছে বাংলা। কিন্তু তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর সদ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া নিজের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের সমস্ত আলোচনা করা ফিরহাদ হাকিম গ্রেপ্তার হওয়ার পরে রীতিমত আকাশ ভেঙে পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। তাই সাথে সাথেই ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে যাওয়ার পর নিজাম প্যালেসে গিয়ে গোটা ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেল তাকে। তবে এত কিছু করে আটক হওয়া নেতা এবং মন্ত্রীদের রক্ষা করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে কোনোমতেই সম্ভব হবে না বলে দাবি করছে ওয়াকিবহাল মহল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -