এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গৃহবন্দী হয়ে মাছ খাবার বাসনায় ভাটা! কষ্ট করেও মিলল না কেষ্ট!

গৃহবন্দী হয়ে মাছ খাবার বাসনায় ভাটা! কষ্ট করেও মিলল না কেষ্ট!


কথায় আছে, কষ্ট করলে নাকি কেষ্ট পাওয়া যায়! কিন্তু গোটা দেশ যখন লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে, তখন মাছে-ভাতে বাঙালির স্বয়ন, স্বপন ও জাগরন মাছ পাওয়া যাবে কিনা, তার প্রধান চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অনেকের কাছেই। সরকারের তরফে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা চালু থাকার কথা বলা হলেও, আতঙ্কে অনেকেই বেরোননি। যার ফলে এই পরিস্থিতিতে নুন ভাত দিয়ে দুপুরের রসনা তৃপ্তি করা অনেকের কাছে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এমন একটা পরিস্থিতিতে সরকারি মৎস্য নিগমের অ্যাপে মাছের বড়াত দিলেই তা সরাসরি বাড়িতে পৌঁছে যাবে বলে জানা গিয়েছিল।

যার পরেই আশায় দিন গুজরান করতে শুরু করেছিল বাংলা ও বাঙালি। তবে লকডাউনের এই মুহূর্তে বরাত দিলেও, বাঙালির রসনা তৃপ্তির প্রধান বস্তু মাছ পাওয়া যে কার্যত দুঃসাধ্য ব্যাপার, তা স্পষ্ট হয়ে গেল। যেমন, গত শনিবার দুপুরে সল্টলেকের পরিচিত এক বৃদ্ধার জন্য আড় এবং বোয়াল মাছ সরবারহ করতে বলেছিলেন রাজর্ষি দত্ত নামে এক ব্যক্তি। অ্যাপের মাধ্যমে আগাম টাকাও দিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু সময় চলে গেলেও, নির্দিষ্ট সময়ে সেই মাছ পৌঁছনো তো দূর অস্ত, এখনও পর্যন্ত সেই নাম্বারে ফোনটুকুও কেউ ধরছেন না। যার ফলে দুপুরবেলা মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খাওয়ায় আশায় থাকা বাঙালির মুখে কার্যত ছাই পড়ে গিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজর্ষি দত্ত নামে সেই ব্যক্তি বলেন, “অ্যাপের অর্ডার বহু চেষ্টা করেও বাতিল করা যায়নি। ওয়েবসাইটের নম্বরগুলো 4 দিনে কেউ ধরেননি। অসহায় অবস্থা। ওয়েবসাইটে ক্ষুব্ধ মতামত জানিয়েও কোনো তাপ উত্তাপ নেই।” কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে! মাছের বড়াত দিলেই মাছ পাওয়া যাবে বলে জানানো হলেও, কেন সময়ে বাঙালির বাড়িতে এসে পৌঁছাচ্ছে না সেই মাছ? কেন আশায় আশায় বসে কল্পনাতেই বিভোর হয়ে থাকতে হচ্ছে বাঙালিকে?

এদিন এই প্রসঙ্গে মৎস্য নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আগে যেখানে 50 টি বরাত আসত, লকডাউনের পরে সেখানে রোজ 1000 অর্ডার আসছে। অথচ কর্মী এখন আগের থেকে অর্ধেক নেই। এতে যে খাবার সরবরাহকারী যুবকদের নম্বর রয়েছে, তারা অস্থায়ী কর্মী। হয় তারা ব্যস্ত, নয়ত এখন কাজ করছেন না। তাতে অবশ্য সাধারণ নাগরিকের সমস্যা লঘু হয় না। তবে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে। বেসরকারি অ্যাপগুলোর সঙ্গে আমরা শীঘ্রই গাঁটছড়া বাঁধব। সেটা হলে মাছ পৌঁছতে সমস্যা হবে না।” কিন্তু বাঙালি যখন কার্যত গৃহবন্দি, তখন তারা মাছে-ভাতে বিভোর থাকবে বলে মনে করলেও, মাছ সোনার পাথরবাটি হয়ে যাওয়ায়, চিন্তা রয়েছে সকলেরই।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!