এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > একে করোনায় রক্ষে নেই! তার উপরে ভয়াবহ হয়ে উঠছে বন্যা পরিস্থিতি! আতঙ্কিত উত্তরবঙ্গের জনজীবন!

একে করোনায় রক্ষে নেই! তার উপরে ভয়াবহ হয়ে উঠছে বন্যা পরিস্থিতি! আতঙ্কিত উত্তরবঙ্গের জনজীবন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টগত 2017 সালের ভয়াবহ বন্যা দেখতে হয়েছে উত্তরবঙ্গ বাসীকে। কোচবিহার থেকে শুরু করে দক্ষিণ দিনাজপুর, বিভিন্ন জায়গায় বানভাসি হয়েছিলেন সাধারন মানুষ। কিছুদিন আগেই করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আর এবার সেই করোনা পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিতেই দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বিভিন্ন এলাকায় পড়ল জলমগ্ন। জানা গেছে, শুক্রবার রাত থেকেই ফুসতে শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের অন্যতম প্রধান নদী আত্রেয়ী।

আর বিপদসীমা পার হয়ে যাওয়া এই আত্রেয়ী নদীর জল এখন ঢুকতে শুরু করেছে বালুরঘাট ও তার সংলগ্ন এলাকায়। যার ফলে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ইতিমধ্যেই বালুরঘাটের বেলাইন, সিংপাড়া, চকভৃগু এবং খিদিরপুরের বেশকিছু বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন একাধিক স্কুলে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের চককাশিতে নদীর বাঁধ উপচে প্রচুর কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। এদিন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা এলাকা পরিদর্শন করেন। কিন্তু যেভাবে আত্রেয়ী, পুনর্ভবা সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নানা নদীর জল ফুসতে শুরু করেছে। ফলে যদি এই নদীগুলোর জল সামান্য বৃদ্ধি হয়, তাহলে গোটা জেলা বন্যার মুখে পড়ে যাবে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, শনিবারের পর রবিবার আত্রেয়ীর জল অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বন্যার জল সামান্য ঢুকতেই 2017 সালের আতঙ্ক গ্রাস করেছে চকভৃগু, বেলাইন সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একাধিক বাসিন্দাদের মধ্যে। এদিন এই প্রসঙ্গে বেলাইনের বাসিন্দা সুজল মহন্ত বলেন, “গত কয়েকদিন থেকে জল বাড়তে শুরু করেছে। সকালে উঠে দেখি ঘরের ভিতর জল চলে এসেছে। তাই বাধ্য হয়ে স্কুল বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু এখনও কেউ সাহায্যের জন্য আসেনি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে চকভৃগু বাসিন্দা শ্যাম দাস বলেন, “আমাদের এলাকার নদীবাধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গা সুইচ গেট দিয়ে জল ডুকছে। তাই আমরা আশঙ্কায় রয়েছি।” এদিকে বন্যা নিয়ে যাতে সাধারণ মানুষের আতঙ্ক বৃদ্ধি না পায় এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়, তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই তপনে একটি রিলিফ সেন্টার খোলা হয়েছে। যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন 60 জন বাসিন্দা। অন্যদিকে কুমারগঞ্জের বিভিন্ন এলাকাও জলমগ্ন। সেখানেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা রিলিফ সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন 130 জন মানুষ।

বন্যার জল কি আরও বাড়তে শুরু করবে? কি মনোভাব প্রশাসনের? পুজোর আগে যদি করোনা পরিস্থিতির পর এবার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়, তাহলে তো মানুষের হতাশার শেষ থাকবে না! এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সেচ দপ্তরের নির্বাহি বাস্তুকার স্বপন বিশ্বাস বলেন, “বালুরঘাটের আত্রেয়ী এবং বংশীহারীর টাঙ্গন নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। পুনর্ভবার জল চরম বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। জলস্তর আরও বাড়বে। আমাদের তরফে নদী বাঁধগুলো জোর কদমে সংস্কারের কাজ চলছে। ভয়ের কারণ নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

এদিকে এই ব্যাপারে বালুরঘাট সদরের  মহকুমা  শাসক বিশ্বরঞ্জন  মুখোপাধ্যায় বলেন, ” এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণশিবির খোলা  হয়েছে  ।  প্রশাসনের  তরফে   জলমগ্ন এলাকাগুলোতে সাহায্যের জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখনও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।” তবে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা যে কথাই বলুন না কেন, দুর্যোগকে আটকানোর সাধ্যি কারওর নেই। যেভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একাধিক নদী ফুসতে শুরু করেছে, তাতে যে কোনো সময় গোটা জেলা বন্যার মুখে পড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন শেষ পর্যন্ত উপরওয়ালার কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া সাধারণ মানুষের কাছে শেষ হাতিয়ার বলে আর কিছুই থাকল না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!