এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > এই সহজ কাজগুলো করলেই সহজে আর করোনা ছুঁতে পারবে না আপনাকে! জেনে নিন বিস্তারিত

এই সহজ কাজগুলো করলেই সহজে আর করোনা ছুঁতে পারবে না আপনাকে! জেনে নিন বিস্তারিত


করোনাভাইরাস-এর যে গোটা বিশ্ব এখন স্তব্ধ। বিশ্বের বড় বড় গবেষণাগার গুলিতে চলছে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারে প্রচেষ্টা। ইতিমধ্যেই করোনা করাল থাবায় গোটা পৃথিবীতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় কয়েক কোটি মানুষের। কার্যত করোনা সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশজুড়ে চলছে চতুর্থ দফার লকডাউন। গত তিন মাস ধরে দেশের মানুষ করোনা সংক্রমণ এড়াতে গৃহবন্দি হয়ে রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ঘরে বন্দি অবস্থায় থাকার পরেও থাবা বসাতে পারে করোনা।

তাই লকডাউনের মধ্যে করোনা থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে বিশেষজ্ঞরা বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। হাঁচি বা কাশির ক্ষেত্রে বারংবার বলা হচ্ছে মুখে চাপা দিয়ে হাঁচা বা কাশা উচিত। সে ক্ষেত্রে টিস্যু অথবা রুমাল ব্যবহারের নির্দেশ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এরপর ওই টিস্যু ভালো করে মুড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে এবং রুমাল ব্যবহারের ক্ষেত্রে রুমালটি দ্বিতীয়বার ব্যবহারের আগে ভালোভাবে কেচে নিতে হবে। বাড়িতে থাকা অবস্থায় সোফা বা এই জাতীয় আসবাবপত্র প্রতিদিন ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

বিছানার চাদর এর ক্ষেত্রে অন্তত তিনদিন অন্তর চাদর পরিবর্তন করতে হবে এমনই নির্দেশ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘরকে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য প্রতিদিন ফিনাইল অথবা যেকোন জীবানুনাশক দ্রব্যের মাধ্যমে ঘর পরিষ্কার করার কথা জানানো হয়েছে। এছাড়াও ঘরে থাকা বিভিন্ন কাঠের বা অন্যান্য ধাতুর আসবাবপত্র ডাস্টিং করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। লকডাউন পরিস্থিতিতেও ঘরের খাদ্যের যোগান অথবা অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের যোগানের জন্য মানুষকে বাইরে বের হতেই হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সে ক্ষেত্রে বাজারে গেলে অবশ্যই মাস্ক এবং গ্লাভসের ব্যবহার করতেই হবে। এমনকি বাজার থেকে ফিরে ওই গ্লাভস এবং মাস্ক ভালো করে সাবান জলে কেচে নিতে হবে। এছাড়াও বাইরে থেকে এসে ঘরে ঢোকার আগে বাইরের জুতো ভালো করে সাবান জলে ধুয়ে নিতে হবে। বাইরের জামা কাপড় যত্রতত্র ফেলে না রেখে বাইরে থেকে এসে সোজাসুজি বাথরুমে গিয়ে জামা কাপড় কেচে ফেলতে হবে। ডাক্তারদের মত অনুযায়ী করোনা সরাসরি শ্বাসনালীর মাধ্যমে ফুসফুসে আক্রমণ করে।

তাই যারা ধূমপান করেন তাদের ক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণ বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে লকডাউনের পরিস্থিতিতে বাড়িতে বসে অতিরিক্ত ধূমপান করার বদলে ধূমপান চিরতরে বর্জন করায় শ্রেয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞগণ। গৃহবন্দি অবস্থায় করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা একটি অত্যাবশ্যকীয় পদ্ধতি পালন করতে বলছে তা হল দরজা খোলার ক্ষেত্রে সরাসরি কনুই দিয়ে দরজা খোলা বাঞ্ছনীয়। লকডাউনে বহু মানুষই ওয়ার্ক ফ্রম হোম এ কাজ করে চলেছেন সেক্ষেত্রেও পালন করতে হবে নিয়ম।

ওয়ার্ক ফ্রম হোম এ কাজ করার জন্য ব্যবহৃত কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপটি প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই বহুতল ফ্ল্যাটে থাকেন। সে ক্ষেত্রে যে সমস্ত মানুষ লিফট ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই লিফট ব্যবহারের সময় গ্লাভস ব্যবহার করা উচিত এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার-এর মাধ্যমে হাত পরিষ্কার রাখা উচিত।প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সময় ব্যাংকের নোট থেকেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ।

সুতরাং বাড়িতে নিয়ে আসা নোট গুলিকে অবশ্যই জীবাণুনাশক দ্বারা জীবাণুমুক্ত করা উচিত।এগুলি ছাড়াও যে বিষয়টি সম্পর্কে বারবার সচেতন করা হচ্ছে তা হল কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর অবশ্যই সাবান জল অথবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখা উচিত। হাত পরিষ্কার না করে চোখ,নাক,মুখ ইত্যাদিতে একদমই হাত দেওয়া উচিত নয়। এমনকি চোখ,নাক,মুখে হাত দেওয়ার পরেও ভালো করে হাত ধুয়ে নেওয়া উচিত অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা উচিত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!