এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার ফুড কুপন বিলিতেও দুর্নীতির অভিযোগ! ক্ষোভে ফুঁসছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা! অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি

এবার ফুড কুপন বিলিতেও দুর্নীতির অভিযোগ! ক্ষোভে ফুঁসছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা! অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভয়াবহ দুর্যোগের পর বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের নানা জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের নানা জনপ্রতিনিধিরা তাদের আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে ঘনিষ্ঠদের বাড়ির কোনো ক্ষতি না হওয়া সত্ত্বেও তাদের টাকা পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দল। যার জেরে তৃণমূলকে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ায় হাঁটতে হয়েছে।

অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। কিন্তু এবার তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফুড কুপন বিলিতে উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। যেখানে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরের দাসপুর 1 ব্লকের রাজনগর পঞ্চায়েতের দাদপুর গ্রামের মোট 82 জন পরিযায়ী শ্রমিক এসেছেন। কিন্তু তার মধ্যে মাত্র 18 জন ফুড কুপন পেয়েছেন। আর আশ্চর্যজনকভাবে দেখা গেছে, পাঁচবেরিয়া, খুকুড়দহ, রাজনগর, বাসুদেবপুর সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েতে পরিযায়ী শ্রমিক না হওয়া সত্ত্বেও অনেকে ফুড কুপন পেয়ে খাদ্য সামগ্রী তুলে নিচ্ছেন। আর এতে তৃণমূলের অনেকের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় রীতিমত অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, দাসপুর 1 ব্লকে 15 হাজার এবং দাসপুর 2 ব্লকের 16 হাজার পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে এসেছেন। কিন্তু মোট সংখ্যা 31 হাজার হলেও, দুই ব্লকে মাত্র 27 হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ফুড কুপন পেয়েছেন। ফলে চার হাজার শ্রমিক এমনিতেই এই তালিকা থেকে বাদ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি? কেন সঠিক মাত্রায় ফুড কুপনের জোগান দেওয়া হচ্ছে না? বিরোধীদের অভিযোগ, আসলে তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা এই ফুড কুপনে নিয়ে খাদ্য সামগ্রী তুলতে ব্যস্ত। স্বাভাবিকভাবে পরিযায়ী শ্রমিকরা তা পাবে কোথা থেকে?

এদিন এই প্রসঙ্গে ঘাটাল জেলা বিজেপি সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “পরিযায়ীদের নিয়ে কোথাও সঠিক তথ্য নেই। তালিকা ধরে বিলিবন্টন হয়নি। 27000 কুপনের অন্তত পঞ্চাশ ভাগ উপভোক্তাই প্রকৃত পরিযায়ী নয়।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে দাসপুরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সুনীল অধিকারী বলেন, “শাসকদলের অফিসে কুপন লেখা হয়েছে। বিডিওরা সেই কুপন বিলি করেছেন। তাই এত সমস্যা।”

যদিওবা এই ব্যাপারে কুপন গলিতে কিছুটা হলেও ধোঁয়াশা রয়েছে বলে জানান দাসপুর 1 ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুকুমার পাত্র। কিন্তু কেন এমনটা হবে? কেন সঠিক মাত্রায় পরিযায়ী শ্রমিকরা তাদের সাহায্য পাবে না? ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতি পূরণের পর এবার যেভাবে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের বিরুদ্ধে, তাতে শাসকদল আরও অস্বস্তিতে পড়বে বলেই দাবি করছে বিশেষজ্ঞরা।

তবে এই ব্যাপারে পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা শাসক প্রতিমা দাস বলেন, “তালিকা ধরে পরিযায়ী শ্রমিককে কুপন দেওয়া হচ্ছে। সবাই বরাদ্দকৃত সামগ্রী সংগ্রহ করেছেন।” কিন্তু অতিরিক্ত জেলা শাসক এই কথা বললেও, বাস্তব যে অত্যন্ত আলাদা এবং অনেক পরিযায়ী শ্রমিক যে সাহায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তা কার্যত পরিষ্কার সরকারি তথ্য থেকেই। ফলে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, পূর্ব মেদিনীপুরে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফুড কুপন বিলিতেও এত দুর্নীতি উঠে আসায় তৃণমূল কতটা চাপে পড়ে, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!