এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রেশন নিয়ে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা চলছে, কিন্তু সবকিছুই প্রায় নিয়ন্ত্রণে: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

রেশন নিয়ে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা চলছে, কিন্তু সবকিছুই প্রায় নিয়ন্ত্রণে: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক


করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। রেশনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের সাহায্য করা হচ্ছে। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, রেশনে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রেশনে দুর্নীতির কথা তুলে ধরে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। মহামারীর সময় রাজ্যের এই রেশন ব্যবস্থা প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ায় সম্প্রতি অস্বস্তিতে পড়ে খাদ্য দপ্তরের সচিবকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর তারপরেই রেশনে দুর্নীতি হচ্ছে এবং তা যে সরকার কিছুটা হলেও মেনে নিয়েছে, তা অনেকেই উপলব্ধি করতে শুরু করেন। তবে এই দুর্নীতি কবে কমবে, তা নিয়ে প্রশ্ন শেষ হয়নি বিরোধীদের। প্রায় প্রতিদিনই এই নিয়ে সরকারকে বিদ্ধ করছে তারা। তবে রাজ্যের এই রেশন ব্যবস্থা নিয়ে নানা মহলে চর্চা শুরু হলেও, সমস্ত কিছু ঠিক রয়েছে বলেই জানান রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে 21000 রেশন দোকানের মধ্যে 300 টিতে অশান্তি হয়েছে। সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রেশন সামগ্রী সুষ্ঠ এবং যথাযথ বন্টন নিশ্চিত করতে সব স্তরের আধিকারিকদের দায়বদ্ধ করা হয়েছে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা সহ পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন জায়গা থেকে রেশনের খাদ্যশস্য কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অন্যদিকে মালদহ, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের মত জেলাগুলিতে নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। তবে যেসব ক্ষেত্রে এই সমস্ত অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে এদিন জানিয়ে দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত 230 জন রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মে মাসের খাদ্যসামগ্রীর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা প্রকাশিত হওয়ায় বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ে জর্জরিত হতে হচ্ছে সরকারপক্ষকে। আর এহেন পরিস্থিতিতে এদিন খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “সবাই এক মাসের চাল একবারে পেয়েছেন। ডিজিটাল কার্ড যাদের নেই, তারা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ত্রাণও পাবেন। কিছু জায়গায় গন্ডগোল বাঁধানোর চেষ্টা হচ্ছে। রাজনীতি করতে চাইছি না। এই সময় সবাই মানুষের পাশে থাকুন।” তবে এত সব প্রশ্নের মাঝেও এখন সাধারণ মানুষ এই মহামারীর সময় রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে কতটা সুষ্ঠভাবে সাহায্য পায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!