প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নবী হযরত মহম্মদের কার্টুন কান্ডকে কেন্দ্র করে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলো মুসলিম দুনিয়া। প্রসঙ্গত গত ১৬ ই অক্টোবর নবী মহম্মদের কার্টুন দেখাবার কারণে এক ফ্রান্সের এক শিক্ষককে ১৬ বছর বয়স্ক চেচেন বংশোদ্ভূত এক কিশোর সকলের সামনে শিরশ্ছেদ করেছিল। শিক্ষকের শিরশ্ছেদের এই ঘটনাকে বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেন ফ্রান্সের অধিকাংশ খ্রিস্টান বুদ্ধিজীবীরা। অন্যদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই কার্টুন কাণ্ডে শিক্ষকের শিরশ্ছেদের ঘটনায় মৌলবাদীদের তীব্র কটাক্ষ করেছেন। সেইসঙ্গে তিনি সুশীল সমাজের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। যার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে মুসলিমরা। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা করতে দেখা গেছে সৌদি আরব, তুরস্ক, পাকিস্তান সহ বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রকে। এবার ফ্রান্সের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনে নামতে দেখা গেল বাংলাদেশের মুসলিমদের।

নবীর কার্টুন কাণ্ডে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ মিছিলে নামল বাংলাদেশের মুসলিমরা। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বিরাট মিছিল বের করে শহরের জনজীবনকে স্তব্ধ করে দিলেন মুসলিমরা। প্রায় ১০০০০ মুসলিমের মিছিলে ভরে গেল ঢাকার রাজপথ। এই মিছিলে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যেমন সোচ্চার হতে দেখা গেল, তেমনি ডাক উঠল ফরাসি পণ্য বয়কটের। বাংলাদেশে উত্তেজনা দেখা দিল এই মিছিলকে কেন্দ্র করে। সমগ্র দুনিয়ার মুসলিম সমাজকে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিলেন বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশের বহুসংখ্যক মুসলিম গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকার বাইতুল মোক্কারাম মসজিদের সামনে প্রথমে এসে জর হলেন। তারপর সেখান থেকে প্রায় ১০০০০ আন্দোলনকারি মিছিল করে ঢাকার ফরাসি দূতাবাসের দিকে এগিয়ে গেলেন। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজপথে নামলো বিরাট পুলিশ বাহিনী। এই সংগঠনের প্রধান রেজাউল করিম ফ্রান্সকে নবী মহম্মদের কার্টুন প্রদর্শনে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দিলেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে কটাক্ষ করে তিনি জানালেন, ” আল্লাহ হজরত মহম্মদকে শান্তির দূত হিসাবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। ম্যাক্রোঁ আর ওঁর সঙ্গীরা ইতিহাস থেকে কোনও শিক্ষা নেয়নি। আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত।”

প্রসঙ্গত, নবী মহম্মদের এই কার্টুন কাণ্ডে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য রাখেন নি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন সংগঠনের প্রধান রেজাউল করিম। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী কোনো বক্তব্য না রাখায়, তাঁর বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে তিনি জানালেন যে, প্রধানমন্ত্রী মুসলিম হয়ে, মুসলিমদের ভোটে ক্ষমতায় এসেছেন। তবে, এখন কেন তিনি নীরবতা পালন করছেন?