এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > তিনি যে মাটি থেকে উঠে আসা নেতা, মানুষের বিপদে কাদা-জল মেখে আবারও প্রমাণ হেভিওয়েট মন্ত্রীর

তিনি যে মাটি থেকে উঠে আসা নেতা, মানুষের বিপদে কাদা-জল মেখে আবারও প্রমাণ হেভিওয়েট মন্ত্রীর


তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান মুখ হলেও, বিভিন্ন জেলায় এমন কিছু কিছু নেতা আছেন, যারা সত্যিই প্রকৃত জননেতা হয়ে উঠেছেন। যার মধ্যে অন্যতম শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব ব্যানার্জির মত রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীরা। মানুষের দুঃখে বিপদে-আপদে প্রায়শই রাস্তায় নেমে সাধারণের দুঃখ ভাগ করে নিতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের শাসকদলের এই মন্ত্রীদের।

এবার সুন্দরবনের বাঘ আটকাতে জঙ্গলের ধার বরাবর নতুন করে নাইলনের জালের বেড়া দেওয়ার কাজ তদারকি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে বনকর্মীদের উৎসাহ দিতে রীতিমতো কাদা মাটিতে নেমে কাজে হাত লাগাতে দেখা গেল তাকে। আর বনকর্মীদের সাথে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এভাবে কাদা-জলে নেমে পড়া রীতিমতো সেই কাজে কর্মরত ব্যক্তিদের অনেকটাই উৎসাহিত করল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, ভয়াবহ দূর্যোগ আমপানের তাণ্ডবে সুন্দরবনের টাইগার রিজার্ভ প্রজেক্ট এবং দক্ষিণ 24 পরগনা বনবিভাগের দেড়শ কিলোমিটার নাইলনের জাল একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। যার ফলে বাঘেদের প্রবেশপথ অত্যন্ত সুদৃঢ় হয়েছে। কিন্তু তা আটকাতেই এবার উদ্যোগ নিয়েছে বনদপ্তর। বাঘেদের আনাগোনা যাতে বৃদ্ধি না হয়, তার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই নাইলনের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন সেই কাজ দেখতেই সুধন্যখালী এবং পীরখালিতে আসেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে বনকর্মীদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাদামাটি জল মেখে উৎসাহ দিতে দেখা যায় রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জেলা বন বিভাগে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি আগামী সপ্তাহের ভেতর পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবে। আমরা চাই বাঘেরা কোনো ভাবে যাতে লোকালয় না আসতে পারে।”

তিনি আরও জানান, “প্রাথমিক হিসেবে 1500 বর্গকিলোমিটার জঙ্গল বিধ্বস্ত হয়েছে। এই জঙ্গলকে আগের অবস্থায় আনতে গেলে প্রায় 50 হাজার কোটি টাকা লাগবে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা যদি এভাবে কোনো কাজে হাত লাগান এবং কাদামাটি জলে নেমে পড়েন, তাহলে তা জনতা জনার্দনের কাছে যেমন বাড়তি পাওনা হিসেবে দেখা দেবে।

ঠিক তেমনই যারা কাজ করছেন, তাদের ক্ষেত্রেও বাড়তি উৎসাহ যোগাবে। ফলে রাজ্যের মন্ত্রী যেভাবে কাজ তদারকি করতে গিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন এবং পরিশ্রমী ভূমিকা পালন করলেন, তাতে জনমানসে তার সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা কাল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সকলেই চাইছেন, প্রত্যেক জনপ্রতিনিধি এবং মন্ত্রীরা যেন এভাবেই মানুষের পাশে থাকতে বদ্ধপরিকর হন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!