এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > ফতোয়া উড়িয়ে সম্প্রীতির পথে থাকতেই কড়া বার্তা সেলিব্রিটি তৃণমূল সাংসদের

ফতোয়া উড়িয়ে সম্প্রীতির পথে থাকতেই কড়া বার্তা সেলিব্রিটি তৃণমূল সাংসদের

‘দশমীর বাজনা বাজি, মা যে চলিল আজি’- শারদীয়া শেষে দুর্গা বিসর্জনকে ঘিরে এখনো চলছে শেষবেলার জনজোয়ার। প্রতিবছরই ইছামতীর দুই পাড়ে দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জনকে ঘিরে এক বিশাল জনসমাবেশ ঘটে। সাথে থাকে রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে কড়া নিরাপত্তা। কারণ ইচ্ছামতীর এক পাড়ে ভারত, অন্য পাড়ে বাংলাদেশ। অনুপ্রবেশের একটা ভয় তো থেকেই যায়। তাই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে এদিনও প্রতিমা নিরঞ্জনকে ঘিরে ইছামতির দুই পারে জনসমাবেশ চোখে পড়ার মতো।

ইছামতি নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনকে ঘিরে গড়ে ওঠে এক মৈত্রীর সঙ্গমস্থল। পাশাপাশি দুটি নৌকায় একটিতে ভারতের পতাকা, অন্যটিতে বাংলাদেশের পতাকা – যা সত্যি না দেখলে অপূর্ণতা থেকেই যায়। সীমান্ত না পেরোলেও দুই দেশের প্রচুর মানুষ দুর্গা প্রতিমার ভাসান দেখতে ইচ্ছামতীর দুই পাড়ে অর্থাৎ টাকি শহর ও অন্যদিকে দেভাটায় প্রচুর মানুষের সমাবেশ ঘটে।

দশমীর দিন ইছামতিতে মূলত বাড়ির ঠাকুর বিসর্জন হয়। তবে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে টাকি শহরের নিরাপত্তা বেষ্টনী রীতিমত জোরদার করা হয়। এদিনও ইছামতি নদীর তীর বরাবর পুলিশি প্রহরা চোখে পড়ার মতো। ভারত বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ইছামতি নদী বয়ে যাওয়ার কারণে জলসীমা বিদ্যমান। তাই সেখানেও রয়েছে চূড়ান্ত প্রহরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান ইছামতি নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন চাক্ষুষ করলেন এদিন। তিনি জানিয়েছেন এতদিন পর্যন্ত ইছামতি নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন তিনি বহু সিনেমায় দেখেছেন বা বইতেও পড়েছেন কিন্তু এদিন তিনি নিজের চোখে এই বিশাল কর্মকান্ড দেখে অভিভূত। শান্তি ও সম্প্রীতির এই মিলন পর্ব দেখে অভিনেত্রী নুসরত জাহান আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন।

মঙ্গলবার ইচ্ছামতী নদীতে দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব খতিয়ে দেখতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ নুসরত জাহান ছড়াও টাকি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল গাজী ও উত্তর 24 পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ্য নারায়ন গোস্বামী সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রীবৃন্দ। বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান এদিন রাজ্যবাসীকে শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে বলেন, ‘যেভাবে ইছামতি নদীর দুই তীরে দুই দেশের প্রতিমা বিসর্জন হচ্ছে তার ব্যাখ্যা ভাষায় প্রকাশ সম্ভব নয়, এতদিন শুনেছিলাম কিন্তু আজ নিজে দেখে এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা হলো আমার।’

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মিলন পর্ব আজ থেকে নয়, বহুদিন থেকেই চলছে ইছামতির পাড়ে। তবে নিরাপত্তার কড়াকড়ি এতটা তখন ছিল না। তাই বিসর্জনের দিনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মানুষ একে অন্যের দেশে কিছু সময়ের জন্য ঘুরে আসতে পারতেন। কিন্তু পরবর্তীতে অনুপ্রবেশ আটকাতে এইরকম কড়া ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। তবে ইছামতির পাড়ে দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জনকে ঘিরে যে বিশাল জনসমাবেশে ঘটে এবং কোনো রকম অশান্তি না ছড়িয়ে যেভাবে শান্তিপূর্ণভাবে বিসর্জন হতে থাকে তা সত্যিই দেখার মতো বিষয়।

নিজে মুসলিম ধর্মাবলম্বী হলেও ব্যক্তিগত জীবনে সেলিব্রিটি তৃণমূল সাংসদ এক হিন্দুকে বিয়ে করেছেন। আর তারপরেই হিন্দু নারীর মতোই শাঁখা-সিঁদুর-মঙ্গলসূত্র পরে তিনি সংসদে হাজির হয়েছিলেন। আর তারপর পুজোতে ঢাক বাজিয়ে নেচে তিনি আবার খবরের শিরোনামে। এই নিয়ে তাঁকে ফতোয়াও দিয়েছেন মৌলবীরা। কিন্তু, সম্প্রীতির প্রশ্নে যে সেইসব ফতোয়াকে তিনি রেয়াত করবেন না – তা আবার স্পষ্ট করে দিলেন নুসরত জাহান।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!