এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ক্রমশ কি শুভেন্দু-পন্থীদের প্রভাব বাড়ছে? মন্ত্রীসভার বৈঠকে ৪ হেভিওয়েটের অনুপস্থিতিতে জল্পনা

ক্রমশ কি শুভেন্দু-পন্থীদের প্রভাব বাড়ছে? মন্ত্রীসভার বৈঠকে ৪ হেভিওয়েটের অনুপস্থিতিতে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অনেকেই বলেন, তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর যে রাজনৈতিক ব্যক্তির জনপ্রিয়তা সবথেকে বেশি, তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এখন সেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের দূরত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। অরাজনৈতিক সভায় যোগ দিয়ে দলের সঙ্গে নিজের দূরত্বকে আরও বাড়িয়ে নিচ্ছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। নন্দীগ্রাম দিবসে তার পৃথক সভা ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা সৃষ্টি করেছে।

আর এর মাঝেই বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক থাকলেও, সেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল এই শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে শুধু শুভেন্দুবাবু নয়, এদিনের এই মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি সহ আরও তিনজন মন্ত্রী অনুপস্থিত ছিলেন। যার মধ্যে রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম, দেব এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তবে গৌতম দেব এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অসুস্থ থাকার কারণে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে খবর। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠকে অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।

তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারীর দিকে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে! তাই রাজীববাবুর মত তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট শীর্ষনেতাও এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন! এখন তা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। বস্তুত, তৃণমূলে সাংগঠনিক কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ না পাওয়ার কারণে দলের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব বৃদ্ধি হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর। বিভিন্ন জেলা সফর করলেও দল এবং প্রশাসনকে কিছু জানাচ্ছেন না তিনি। এমনকি তিনি যে সমস্ত সভামঞ্চে উপস্থিত হচ্ছেন, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো নাম নিতে দেখা যাচ্ছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি নিজের বক্তব্যে দল বা নেত্রীর নাম নিচ্ছেন না শুভেন্দুবাবু। এদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন জল্পনা তৈরি হচ্ছে, তখন রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে একের পর এক তৃণমূল বিধায়করা দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ পোষণ করতে শুরু করেছেন। কোচবিহার দক্ষিণের মিহির গোস্বামী থেকে শুরু করে ব্যারাকপুরের শীলভদ্র দত্তের মত হেভিওয়েট বিধায়ক প্রকাশ্যে এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত ঘটনা এমনি এমনিই ঘটে যাচ্ছে, তা মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, তৃণমূলের বিদ্রোহী বিধায়কদের সংখ্যা যত বাড়ছে, ততই লাভ হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর। কেননা তার মত শীর্ষ নেতা যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে তিনি পৃথক মঞ্চ গঠন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তার তুরুপের তাস হবে এই সমস্ত বিদ্রোহী বিধায়করা। স্বাভাবিকভাবেই এবার নিজের দল এবং প্রশাসনের দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়ে যেভাবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুস্থিত থাকলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী, তাতে তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী যদি আরও দূরত্ব বাড়িয়ে দেয় দলের সঙ্গে, তাহলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনো রকম আশা দেখা যাচ্ছে না। কেননা এখনও পর্যন্ত তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সেই শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জন করার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আর শুভেন্দুবাবু দলের সঙ্গে আর সব কিছু ঠিক হবে না বুঝেই কি এবার খেলা ঘুরিয়ে দিতে শুরু করলেন!

তাই কি এখন তার পথে হাঁটতে শুরু করল তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা? কেননা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার মাঝেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত হেভিওয়েট নেতাকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির থাকতে দেখা গেল। স্বাভাবিকভাবেই এমত পরিস্থিতিতে একের পর এক মন্ত্রী এবং বিধায়কদের শুভেন্দু অধিকারীর পথ অনুসরণ তৃণমূলের অন্দরমহলের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে দিচ্ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!