ফেডারেল ফ্রান্ট গড়ার মুখে বড় ধাক্কা খেলো কংগ্রেস, ইফতার পার্টিইতে অনুপস্থিত বহু জোটের নেতা জাতীয় June 14, 2018 কংগ্রেস আয়োজিত ইফতার পার্টিতে আমন্ত্রনের মধ্যে দিয়ে বিজেপি বিরোধী তৃতীয় ফ্রন্টের প্রাথমিক পর্যায়ের চিত্র প্রকাশ্যে আনতে উদ্যোগী হয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কিন্তু অদৃষ্টের লিখন ! কংগ্রেস সভাপতির এই পরিকল্পনা চুড়ান্ত ভাবে ব্যর্থ হলো। এদিন ইফতার পার্টির আগেই নিজের এই রাজনৈতিক উদ্যোগের বিষয়ে বিশ্লেষন করে কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেশের সংবিধানকে আক্রমণ করছেন, তা মানুষ ভালভাবে নিচ্ছে না। বিরোধীদের তৈরী মহাজোট আসলে মানুষের স্বাভাবিক আবেগের প্রকাশ। কিন্তু এত কিছুর পরেও নিজের বলা করার মান রাখতে পারলেন না তিনি নিজেই। জানা যাচ্ছে এদিনের ইফতার পার্টিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, সীতারাম ইয়েচুরি, শরদ যাদব প্রমুখ বিশিষ্ট নেতা ছিলেন আমন্ত্রিতদের তালিকায়। আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি প্রমুখ। রাজনৈতিক মহলে কংগ্রেস সভাপতির এই উদ্যোগের সাফল্য প্রসঙ্গে বেশ জল্পনা ও শুরু হয়ে গিয়েছিলো। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে কিন্তু আমন্ত্রিতদের মধ্যে অনিবার্য কারণ বশত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, এইচ ডি কুমারস্বামীর প্রমুখ প্রতাপশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত থাকতে পারলেন না। পরিবর্তে তাঁরা নিজেদের দলীয় প্রতিনিধি পাঠিয়ে নিমন্ত্রন রক্ষা করলেন। এই ঘটনার ব্যাখ্যা করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা জানালেন অনুপস্থিত আঞ্চলিক দলের নিমন্ত্রিত নেতারা অনুপস্থিতির জন্যে ব্যক্তিগত কারণের উল্লেখ করলেও আদতে এটা ছিলো সম্ভাব্য মহাজোটের সেনাপতি হিসেবে কংগ্রেস সভাপতিকে অস্বীকার করা। কারণ বিগত কয়েকটি নির্বাচনের ফলাফল লক্ষ্য করলে দেখা যায় কর্ণাটক বাদ দিয়ে সর্বত্রই আঞ্চলিক দল গুলি নিজেদের মধ্যে আসন সমঝোতা করে সহজেই সংশ্লিষ্ট আসন গুলিতে সাফল্যে পেয়েছে। তাই এখানে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসছে আঞ্চলিক দলগুলি যদি নিজেরা একাই একশো হয়ে জোট গঠন করে তাহলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নিশ্চিত সাফল্য আসবে। বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে মহাজোটের ভবিষ্যত অনুমান করা কঠিন। তাই সব কিছু সময়ের হাতে ফেলে রাখা ছাড়া এই মুহূর্তে কোনো উপায়ই নেই। আপনার মতামত জানান -