“আসলে তাঁর মস্তিষ্ক বিকৃতি হয়েছে” নেত্রী প্রসঙ্গে এবার বিস্ফোরক মুকুল রায় মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য April 19, 2019 মুকুল-মমতার লড়াইয়ে জমজমাট লোকসভা ভোটের প্রচার। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের নির্বাচনের প্রচারে বিরোধীদের তোপ দাগছেন ক্রমাগত ,আর এদিকে মুকুল রায় ও তৃণমূল নেত্রী সমেত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছেন। আর এদিন গদ্দার প্রসঙ্গেও মুখ খুললেন তিনি। কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন নিজের দলনেত্রীকে। দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবার পর থেকেই বার বার মুকুল রায়কে ‘গদ্দার’ বলা হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে। বাদ যাননি স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীও। তিনিও নাম না করে বার বার মুকুল রায়কে ‘গদ্দার’ বলেছেন। এইদিনের সভা থেকে নিজের প্রাক্তন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তা নিয়েই পাল্টা দিলেন তিনি। এদিন তিনি দাবি করেন যে, ”মুকুল গদ্দার। কিন্তু ভারতবর্ষে মমতার চেয়ে বড়ো গদ্দার কে আছে? কংগ্রেস ওকে 5 বার সাংসদ করেছে। দু’বার মন্ত্রী করেছে। রাজীব গান্ধি যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী করেছেন। আর কংগ্রেস একটু বিপদে পড়তেই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নতুন দল করেছেন। তাই ভারতবর্ষে যদি গদ্দারদের নাম লেখা হয়, সবার আগে থাকবে মমতা ব্যানার্জির নাম।” এর পরেই নারদা, সারদা, রোজ়ভ্যালির প্রসঙ্গ তুলে তিনি অভিযোগ করেন যে, ” নারদা, সারদা, রোজ়ভ্যালির প্রসঙ্গ উঠলে উনি কথায় কথায় বলেন, মুকুল এসব করেছে। মাথাভাঙা থেকে মমতা বলছেন, সারদা, নারদার মূল পাণ্ডাকে পাশে বসিয়ে প্রধানমন্ত্রী তোপ দাগছেন। কিন্তু মমতাদেবী, সারদায় মুকুল রায়ের নাম কোথাও নেই। জোর গলায় বলছি, সারদা, নারদা, রোজভ্যালি, কোথাও মুকুল রায়ের জড়িত থাকা প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু যদি তা প্রমাণ করতে না পারেন, তবে কি আপনি মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়বেন?” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপর ডেলোর বৈঠক নিয়েও তিনি দাবি করেন যে, “ডেলোতে বসে গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে গুজুর গুজুর করলেন। কেউ না জানুক, আমি তো জানি, কী বলবেন, মমতাদেবী! গলা চড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার যতই চেষ্টা করুন, সারদা, রোজ়ভ্যালি, MPS, প্রয়াগ উঠে যাওয়ার জন্য আপনিই দায়ি। যে হাজার হাজার মানুষ তঞ্চকতার শিকার হয়েছে, তার জন্য দায়ি আপনি। তার কারণ, আপনি গুজুর গুজুর করে বললেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। তোমাকে কাগজ বানাতে হবে, তোমাকে টিভি চ্যানেল বানাতে হবে। সেই কাজ করতে গিয়ে যে বিনিয়োগ করতে হল, তাতে সারদা, রোজ়ভ্যালি উঠে গেল। গরিব মানুষ তঞ্চকতার শিকার হল। আর আজ বলছেন, সারদার মূল পান্ডা মুকুল! সারদা, রোজ়ভ্যালিতে সবচেয়ে বেশি সুবিধে পেয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। ” এরপরেই রাজীব কুমারকে সিবিআই এর জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে ধারণায় বসা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে ছাড়েননি তিনি। তিনি দাবি করেন যে, “সবচেয়ে বড়ো বিষয়, যেদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হল, যেদিন মদন মিত্র গ্রেফতার হল, সেদিন মমতা ব্যানার্জি ধরনা বা অনশনে বসলেন না। কিন্তু যেদিন রোজ়ভ্যালি ও সারদা নিয়ে CBI রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলল, সেদিন মমতা ব্যানার্জি রাজীবকে নিয়ে ধরনায় বসে পড়লেন। কী আছে রাজীব কুমারের কাছে?” তৃণমূলের তরফ থেকে প্রচার করা হচ্ছে যে, এবার তৃণমূল কেন্দ্রে সরকার গড়বে। আর দেশের নয়া প্রধানমন্ত্রী হবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই বাংলার মানুষকে দলের তরফ থেকে দলের নেতারা এমনকি নেত্রী নিজেও বার বার আবেদন করছেন এই সুযোগ যেন হাতছাড়া না করা হয়। কেননা এবারে সুযোগ এসেছে দেশে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হবার। তাই ৪২ সে ৪২ টি আসনেই জেনি মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়ে জেতান। আর এই নিয়েই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী নিয়ে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি মুকুলবাবু। তাঁর দাবি, ” তাঁর এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার শখ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে 273টি আসন লাগবে। 42টি আসনে দাঁড়িয়ে তুমি প্রধানমন্ত্রী হবে কী করে? ” এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন যে,”আসলে তাঁর মস্তিষ্ক বিকৃতি হয়েছে। তার জন্য কলকাতায় লোক এনে একটা সার্কাসও করলেন। সেই সার্কাস দেখালেন মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের। সার্কাস পার্টিতে বাঘ, সিংহ, হাতি সহ নানা পশুপাখি থাকে। আর একঘেয়েমি কাটাতে জোকার থাকে। মমতা ব্যানার্জিও এই সার্কাস পার্টির জোকার।” যদিও এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের দল বা তৃণমূল নেতা নেত্রীর তরফ থেকে কোনো পতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে তীব্র তাঁরা পাল্টা পতিক্রিয়া কি দেন তা দেখার পাশাপাশি তা নিয়েও যে ফের বাক যুদ্ধে ভোটার বাজার গ্রাম হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনার মতামত জানান -