এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > গণপতি বাপ্পা মোরিয়া! গনেশ চতুর্থীর আগে জেনে নিন কিভাবে হবে আপনার পরিবারের কুশল-মঙ্গল!

গণপতি বাপ্পা মোরিয়া! গনেশ চতুর্থীর আগে জেনে নিন কিভাবে হবে আপনার পরিবারের কুশল-মঙ্গল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি সারা দেশেই গণেশ পূজা পালনের একটি রীতি লক্ষ্য করা যায়। তবে বেশ কয়েবছর আগেও এটি মহারাষ্ট্রের মানুষদের বিশেষ পুজো হিসেবেই পরিচিত ছিল। যেমন কলকাতার দুর্গাপুজো। তবে ঠাকুর দেবতা সবার। তাই তাঁদের নিয়ে উৎসবও সবার উৎসব। তাই দেশ কালের গণ্ডি পেরিয়ে সম্প্রতি সারা দেশের বিভিন্ন স্থানেই গণেশ পূজা পালিত হয়। আগামীকাল সেই পূজার সুভারাম্ভ। তাই গণেশ পূজার প্রাক্কালে পূজা সম্পর্কে জেনে নিন কিছু তথ্য

ভগবান গণেশ:- পুরাণ অনুসারে, ভগবান গণেশ ভগবান শিব এবং দেবী পার্বতীর দ্বিতীয়। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, দেবী পার্বতী গণেশকে সৃষ্টি করেছিলেন এবং তাঁকে নিজের ঘরের দরজা পাহারা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এমনসময় শিব ফিরে এসে পার্বতীর ঘরে ঢুকতে গেলে গণেশ তাঁকে বাধা দেন। একটি ছোট ছেলের এত আস্পর্ধা দেখে শিব রেগে যান। শিবের সঙ্গে গণেশের যুদ্ধও শুরু হয়। তখন রাগের মাথায় তিনি গণেশের মাথা কেটে ফেলেন। গণেশের মুণ্ডহীন দেহ দেখে পার্বতী কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং তাঁর সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে বলেন তাঁর পতিকে। তখন অন্য দেবতাদের শিব নির্দেশ দেন যে, উত্তর দিকে গিয়ে যার মাথা আগে দেখতে পাবে তার মাথাই কেটে নিয়ে আসবে। সেই মত দেবতারা উত্তর দিকে গিয়ে প্রথমেই একটি হাতি পেয়ে তারই মাথা নিয়ে আসে। সেই মাথাটিই গণেশের দেহে বসিয়ে দেন শিব। বাজসনীয় সংহিতা, যাজ্ঞবল্ক্য স্মৃতি, এবং মহাভারতে গণেশের নাম পাওয়া যায়। এছাড়া স্কন্দপুরান, ব্রাহ্ম পুরাণ প্রভৃতিতে গণেশের কথা পাওয়া যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিহাস:- ঠিক কবে গণেশের পুজো শুরু হয়েছিল তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও মোগল মারাঠা যুদ্ধের সময় শিবাজীর পৃষ্ঠপোষকতায় সামাজিক এবং জনসাধারণের একটি মেলবন্ধনের হিন্দুপ্রথা হিসেবে এই পূজার পরিচয় পাওয়া যায়। এছাড়াও ইলোরা গুহা, জৈন মন্দিরে এবং পঞ্চম ও অষ্টম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে গণেশ পূজা হিন্দু পূজার অন্যতম একটি অঙ্গ হিসাবে পরিচিত ছিল সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।

পূজা পদ্ধতি:- বাংলার ভাদ্র মাস অর্থাৎ ইংরেজি মাসের অগাস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এই পূজা হয়ে থাকে। শুক্ল পক্ষের চতুর্থীর দিন এই পূজার আরম্ভ হয় এবং দশ দিন পর্যন্ত চলে। এরপর নিকটবর্তী নদী বা সমূদ্রের জলে প্রতিমা বিসর্জনের প্রথা প্রচলিত আছে। প্রসাদ হিসেবে চালের গুঁড়ো এবং নারকেল ও গুড় দিয়ে তৈরি এক প্রকার বিশেষ মিষ্টি নৈবেদ্য হিসেবে অর্পণ করার রীতি চলে আসছে। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ প্রভৃতি জায়গায় এই পুজো মূলত পালন করা হয়। তবে সম্প্রতি সারাদেশেই এই পূজা বর্তমানে লক্ষ্য করা যায়।

গণেশ পূজার উপকারিতা:- ভগবান বিঘ্নহর্তা অর্থাৎ যিনি বাধাবিপত্তি নাশ করেন। বিশ্বাস করা হয় যে, গণেশের পুজো করে অন্য পুজো আরম্ভ করা যায় না। কোনো শুভ কাজের সূচনার আগে অবশ্যই সাফল্য এবং সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য গণেশের পুজো করা প্রয়োজন।
* এই দেবতার আশীর্বাদে আপনার জীবন থেকে সমস্ত প্রতিকূলতা বা প্রতিবন্ধকতা দূর হয়।
* আপনার জীবনের সমস্ত কর্মে সাফল্য অর্জন করতে সাহায্য করে।
* বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও শুভ সময়ের সূচনা করে।
* আপনার সুস্বাস্থের জন্যও এই পূজা করা যেতে পারে।
* গণেশ পূজার ফলে দেবী লক্ষ্মীর কৃপাদৃষ্টি লাভ করা যায় বলেও মনে করা হয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!