এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > গণতান্ত্রিক প্রতিবাদেও অমানবিক অত্যাচার মমতার পুলিশের? এবার মৌন থেকেই মুখর হবে বিজেপি শিবির?

গণতান্ত্রিক প্রতিবাদেও অমানবিক অত্যাচার মমতার পুলিশের? এবার মৌন থেকেই মুখর হবে বিজেপি শিবির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বৃহস্পতিবার তৃণমূল বিজেপি দ্বন্দ্ব নিয়ে রাজ্যে তাণ্ডব চলতে দেখা গেছে। যদিও এখানে বিজেপির অভিযোগ যে এসবই নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্য সরকার করেছে। তবুও স্বভাবতই অন্যদিকে তৃণমূলও পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপিকে। বৃহস্পতিবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে প্রথম গন্ডগোল শুরু হয় সাঁতরাগাছিতে। সেখানে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করতে দেখা যায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।

বস্তুত নবান্ন অভিযানের ডাকে, যুব মোর্চা সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতির পদে আসীন হওয়ার পর এই প্রথম কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন কর্ণাটকের বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। কেন্দ্রের শাসকদলের যুব সংগঠনের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেই এদিন সকল থেকে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষ রণক্ষেত্রের চেহারা নয় নিতে শুরু করে। রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড ও কমব্যাট ফোর্স নিয়ে বিজেপির যুব কর্মীদের মিছিল আটকাতে চেষ্টা করে পুলিশ। দফায় দফায় তাদের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়।

অন্যদিকে দফায় দফায় জিটি রোড, হাওড়া ময়দান এবং হাওড়া ব্রিজেও অশান্তি তৈরি হয়। সেইসময় হাওড়া ময়দানে গন্ডগোল চলাকালীন পুলিশ এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করে। সে মাটিতে পড়ে গেলে সেই সময়ই তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। আর এরপর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করে বলেও জানা যায়।

অন্যদিকে পুলিশের অভিযোগ তাদের যাবতীয় হুঁশিয়ারি দেওয়া সত্ত্বেও মারমুখী হয়ে ওঠে উত্তেজিত জনতা। সাঁতরাগাছিতে প্রথমে ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি কর্মীসমর্থকরা এগোনোর চেষ্টা করতেই গোটা এলাকায় ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। বিজেপিকে আটকাতে জলে রং মিশিয়ে জলকামান ছুঁড়তে থাকে পুলিশ। এরপর উলটে পুলিশকেই লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে শুরু করে মিছিলকারীরা। এরপরই লাঠিচার্জ করার পাশাপশি টিয়ারগ্যাস ছোঁড়ার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। ব্যাস এতেই নিমিষে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বলে জানা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

হাওড়া ময়দানের সামনেই বোমা পড়ে। পুলিশও দফায় দফায় টিয়ারগ্যাস ছিঁড়ে। অন্যদিকে হাওড়া ব্রিজের কাছে আরেকটি মিছিল পৌঁছতেই তুমুল অশান্তি শুরু হয়। সেখানে দিলীপ ঘোষের উপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এখানেই নাকি ধস্তাধস্তির জেরে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়ে বলেও খবর পাওয়া যায়। তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে সেইসময় হাওড়া ময়দানে গন্ডগোল চলাকালীন পুলিশ এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করে। সে মাটিতে পড়ে গেলে সেই সময়ই তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। আর এরপর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। এবার সেই নিয়েও জল ঘোলা হয়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ সঙ্গীন বলেই অনুমান করা হচ্ছে।

তবে হাল ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি। এহেন অন্যায়ের প্রতিবাদে, আজ বিকেল সাড়ে চারটের সময় কলকাতায় মৌন মিছিলের ডাক দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। গতকাল বিকেলেই একথা জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তাঁর কথায়, নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশ বিজেপি কর্মীদের উপর যে অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে, সেই প্রতিবাদেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এদিন সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে রাজ্য দপ্তর থেকে গান্ধী মূর্তি পর্যন্ত বিজেপির নেতা-কর্মী ওই মৌন মিছিল হবে বলে জানা গেছে। কথায় বলে মৌনিতাই প্রতিবাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা কতটা কার্যকর হয়, সেটাই দেখার অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!