প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্ররোচনামূলক মন্তব্যের কারণে সোমবার রাত আটটা থেকে মঙ্গলবার রাত আটটা পর্যন্ত সমস্ত রকম প্রচার প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তারপরই এই ঘটনার প্রতিবাদে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনা দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয় রাজ্য রাজনীতিতে। টুইটে তৃণমূল নেত্রী ধরণা দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়ার সাথে সাথেই নানা মহলের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরণা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই তা তুলে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবেই কেন ধরনা থেকে পিছিয়ে এলেন তৃণমূল নেত্রী, এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, আজ নির্ধারিত সময়ে গান্ধী মূর্তি পাদদেশে উপস্থিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে হুইল চেয়ারে বসে কালো কাপড় গলায় নিয়ে এবং কালো মাস্ক পড়ে ধর্না দিতে দেখা যায় তাকে। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ছিল তুলি এবং রং। আর এই ধরনের অভিনব প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে ছবি আঁকতে দেখা গিয়েছিল তাকে। স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতক্ষণ এইভাবে তার প্রতিবাদ জানান, তার দিকে নজর ছিল সকলের। কিন্তু কিছু সময় পেরোতে না পেরোতেই দুপুর তিনটে নাগাদ সেই ধর্না থেকে সরে গিয়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ ত্যাগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

একাংশ বলতে শুরু করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে ধর্না মঞ্চে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, সেখানে কোনো রকম অনুমতি নেওয়া হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই তার বিরুদ্ধে নতুন করে এই ঘটনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে। তাই সেই দিকটা মাথায় রেখেই ধর্না শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই জায়গা ত্যাগ করলেন তৃণমূল নেত্রী। বলা বাহুল্য, অতীতেও নানা কারণে রাস্তায় ধর্নায় বসতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

কিন্তু এবার বিষয়টা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। নির্বাচনের দামামা যখন বেজে গিয়েছে, তখন তৃণমূল নেত্রী যেভাবে কমিশনের একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাস্তায় বসে পড়লেন, তা কার্যত নজিরবিহীন। তবে কিছুসময়ের মধ্যেই তা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এখন তা নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।