এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > গঙ্গার ভাঙনে আশ্রয় হারিয়ে দিশেহারা সাধারণ মানুষ! তা সত্ত্বেও থামছে না রাজনীতি! বাড়ছে ক্ষোভ

গঙ্গার ভাঙনে আশ্রয় হারিয়ে দিশেহারা সাধারণ মানুষ! তা সত্ত্বেও থামছে না রাজনীতি! বাড়ছে ক্ষোভ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কিছু স্থান গঙ্গা নদীর করালগ্রাসে পড়েছে। ধানঘড়া, শিবপুর, ধুসরিপাড়ার ঘাটে গঙ্গার তীব্র জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে পড়েছে নদীর পাড়। ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে বহু মানুষ। ফারাক্কার কোল ঘেঁষে গঙ্গার একের পর এক ভাঙ্গনে বাস্তুচ্যুত বহু গ্রামবাসী। গত দুই সপ্তাহ ধরে চলছে নদীর এই ধ্বংসলীলা। সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে নদীর ভাঙন রোধের জন্য নদীর পাড় ঘেঁষে ক্রমাগত বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই নদীর ভাঙ্গন রোধ করা যাচ্ছে না।

ধানঘড়া, শিবপুর, ধুসরিপাড়ার বহু মানুষ বাস্তু হারা। এই তিন গ্রামের অন্তত ৩১০ টি পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে দিন কাটাচ্ছে ত্রিপল এর নিচে, কেউ বা আশ্রয় নিয়েছেন অন্য গাঁয়ের কোন আত্মীয় পরিজনদের বাড়িতে, কেউ বন্ধ স্কুলের বারান্দায় কেউবা আম বাগানের ধারে। বিপন্ন এই মানুষদের মুখে মানুষদের মুখে একটাই প্রশ্ন, এভাবে তারা আর কতদিন চালাবেন? বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যদের কাছে তারা প্রশ্ন করছেন,
” পুজোর মুখে আমরা যাব কোথায় বলুন তো! ” তাদের মুখের এই প্রশ্ন শুনে রাজনীতির কারবারিরা কখনো আশ্বাস দিচ্ছেন, কখনো বা অন্য দলের বিরুদ্ধে দোষারোপ করছেন। কিন্তু প্রকৃত সমস্যার সমাধান যে কবে? সে ব্যাপারে সকলেই প্রায় নিরুত্তর।

ধানঘড়া গ্রামে নদীর ভাঙ্গনে বাস্তুহারা ৬৫ বছর বয়স্ক সাদেমান আলি জানালেন, ” সকলেই ‘ঘর দেব’ বলে পুনর্বাসনের আশ্বাস ঝুলিয়ে ফিরে যাচ্ছেন, কেউ বা দিল্লি কেউ বা নবান্নের দিকে তোপ দেগে বলছেন, সব দোষ ওদেরই! কিন্তু এ সব না করে, এই ঘর-হারা মানুষগুলোর জন্য একটু ভিটের চেষ্টা সকলে মিলে করলেও তো পারত, এই সময়ে রাজনীতি করাটা কি খুব জরুরি! ’’

এ প্রসঙ্গে শমসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলামের বক্তব্য, ” ৩১০টি পরিবার আছে ভিটে হারিয়েছে। তাঁদের প্রথম তালিকা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। আপাতত কোনও সরকারি জমি এলাকায় নেই। এতগুলো পরিবারের পুনর্বাসন দিতে অন্তত ৫ একর জমি লাগবে।’’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে কয়েকদিন ধরেই গৃহহারা মানুষদের জন্য বিকল্প জমির খোঁজ করছেন নিমতিতার পঞ্চায়েত প্রধান সিউটি হালদার। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, সরকারি খাস জমি এই এলাকায় নেই। ফিডার ক্যানেল এর পাশে ও চাঁদপুরে কিছুটা জমি আছে, কিন্তু সেখানে কেউ যেতে চাইছেন না।

বিজেপি সংসদ খগেন মুর্মু উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করে জানালেন, ” ভিটে হারানো পরিবারগুলির পুনর্বাসনের দায় রাজ্য সরকারের।’’ অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ” ব্যারাজ কর্তৃপক্ষের জন্যই এউ ভাঙন, পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিতে হবে তাই কেন্দ্রীয় সরকারকেই।’’

বিভিন্ন রাজনীতিবিদদের অন্যের ঘরে দায় চাপিয়ে দেবার এই কথা শুনে স্থানীয় এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক পীযূষকান্তি পাল জানালেন, ” পুনর্বাসনের দায় কার তা নিয়ে আকচাআকচি না করাই ভাল। আমরা অবশ্য স্কুলের শিক্ষকদের ডেকে চেয়ার-টেবিল সরিয়ে মানুষগুলোকে দিন কয়েকের থাকার ব্যবস্থা করছি। তবে তা তো পাকাপাকি কোনও ব্যবস্থা নয়। দু’দিন পরেই তো স্কুল খুলবে, তখন! ’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!