এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > গরীবের ঘর ভাঙলে নিয়মের গেরোয় মেলে না ক্ষতিপূরণ! এবার বড়সড় পদক্ষেপের পথে বাংলার বিজেপি বিধায়ক

গরীবের ঘর ভাঙলে নিয়মের গেরোয় মেলে না ক্ষতিপূরণ! এবার বড়সড় পদক্ষেপের পথে বাংলার বিজেপি বিধায়ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ডুয়ার্সের চা বাগানে হাতির হামলা নতুন কিছু নয়। বরাবরই চা বাগানে ঢুকে হাতির দল হামলা চালায় এবং চা বাগানের বসবাসকারী শ্রমিকদের বস্তি ভাঙচুর করে দিয়ে চলে যায়। এরপরেই আসে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি। কিন্তু দেখা গেছে, বিভিন্ন নিয়মের ফাঁদে পড়ে চা বাগানের শ্রমিকরা কোনরকম ক্ষতিপূরণ পাননা। একদিকে বনকর্মীরা ঠেলতে থাকে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি চা বাগানের মালিকের দিকে এবং চা বাগান মালিক পুরো ব্যাপারটি ঠেলে দেয় বনকর্মীদের জিম্মায়।

আর এই টানাপোড়েনের চোটে হেনস্থ হতে হয় চা শ্রমিকদের। হাতিদের হামলায় ভেঙে পড়া বাড়ি আর কোনো ক্ষতিপূরণের টাকায় সেরে ওঠেনা, বরঞ্চ শ্রমিকদের মহাজনদের কাছে মোটা সুদে ঋণ নিতে হয়। আর এই নিয়ে এবার মুখ খুলতে চলেছেন মাদারিহাট এর বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। বিধানসভার আগামী অধিবেশনে তিনি বনদপ্তর ও চা বাগানের ক্ষতিগ্রস্থদের ঘর মেরামতের টাকা দেওয়ার যে নিয়ম তার সরলীকরণের দাবি জানাতে চলেছেন বলে জানা গেছে।

তবে বর্তমানে বিধানসভার অধিবেশন করো না পরিস্থিতির জন্য স্থগিত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা জানিয়েছেন, চা শ্রমিকদের বসবাস করার জন্য নিজস্ব কোন জমি না থাকায় বনদপ্তর হাতি হামলার ক্ষতিপূরণ দেয়না শ্রমিকদের। অন্যদিকে চা বাগান গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতায় থাকার অজুহাতে চা বাগান মালিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের কোন টাকা পয়সা দেয় না। উপরন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এখন মহাজনরা চা-বাগানের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের আর ধারে টাকা দিতে চাইছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা পড়েছেন চরম বিপদে। অন্যদিকে বিজেপি বিধায়কের এই প্রশ্নের পেছনে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করার কথা বলছেন তৃণমূলের অনেকেই। এ প্রসঙ্গে চাবাগানের তৃণমূল মজদুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অসীম মজুমদার জানিয়েছেন, এই নিয়মের পুরো ভাগ শুধুমাত্র রাজ্যের উপর বর্তায় না। নিয়ম অনুযায়ী কিছুটা দায় কেন্দ্রীয় সরকারেরও। সে ক্ষেত্রে তাঁরা কিভাবে চুপ করে রয়েছে এই প্রশ্ন উঠছে।

অন্যদিকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও কুমার বিমল জানিয়েছেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যদি কোনো শ্রমিক এর নিজস্ব জমি না থাকে তাহলে তাঁদের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়না। তবে এই নিয়মের সরলীকরণের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত। চা বাগান মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে চা বাগানের মালিকরা জানাচ্ছেন 1998 সালে চা বাগানগুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতায় এসেছে।

তাই শ্রমিকদের ঘর মেরামতের টাকা অবশ্যই গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষেরই দেওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, চা বাগান শ্রমিকরা আদতে হয় অত্যন্ত গরীব। তাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেলে খুব স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের আর সামর্থ্য হয়না নতুন করে তৈরি করার। সে জায়গায় তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে টানাপড়েন চলাটা মোটেই কাজের কথা নয়। অন্যদিকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিষয়টি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে রাজ্যের শাসকদলের ওপরে এবং এ বিষয়টি নিয়ে যথারীতি সুযোগ নিতে চলেছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!