এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > গাড়িতে হামলা, “পেছনে মমতার উস্কানি” বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ!

গাড়িতে হামলা, “পেছনে মমতার উস্কানি” বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রথম দুই দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলায়। তৃতীয় দফার নির্বাচনে বেশকিছু অশান্তির খবর সামনে আসতে শুরু করেছিল। আর তৃতীয় দফার নির্বাচনের শেষ হতে না হতেই উত্তপ্ত হতে শুরু করল বাংলার রাজনীতির রণাঙ্গন। এবার কোচবিহারে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে শীতলকুচিতে তার গাড়িতে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

বলা বাহুল্য, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সকল রাজনৈতিক দল মিটিং মিছিল এবং নিজ নিজ রাজনৈতিক কর্মসূচি করলেও, যাতে কোনো দলের মধ্যে কোনোরূপ রাজনৈতিক সংঘর্ষ না হয়, তার জন্য প্রতিমুহূর্তে চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বিরোধী দলের প্রধান সেনাপতি যেভাবে প্রচার করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন, তাতে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যজুড়ে। আর এবার এই গোটা ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানি রয়েছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন আক্রান্ত বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সূত্রের খবর, এদিন হামলার পর সাংবাদিক বৈঠক করে রীতিমত বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “মানুষ এসব পছন্দ করছে না। লোকসভায় মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন। আজকের ঘটনা অকল্পনীয়। বোমা মারতে মারতে দেড়শ লোক ছুটে আসে। আমার সুরক্ষা না থাকলে বাকিদের কি হবে! দিনের বেলা ঝান্ডা নিয়ে হামলা হয়েছে। মমতার উস্কানিতেই এই ঘটনা ঘটেছে।”

আর যেভাবে আক্রান্ত হওয়ার পর দিলীপ ঘোষ সরাসরি অভিযোগের আঙুল পুরুলিয়ার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে, তাতে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেভাবে তার বিরুদ্ধে হামলায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি, তাতে তৃণমূল যে কিছুটা হলেও চাপের মুখে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গোটা ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এমনিতেই অন্যান্য সময় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিটিং মিছিলে বাধা দেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে নির্বাচনের সময় যাতে সেই রকম কোনো ঘটনা না ঘটে, তার জন্য আগে থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। সেই মত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যেন তাল কাটতে শুরু করল।

চতুর্থ দফার নির্বাচনের আগে যেভাবে প্রচারে গিয়ে বিরোধী দলের প্রধান সেনাপতি আক্রান্ত হলেন, তাতে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে তৃনমূলের অস্বস্তি বাড়ল, যখন দিলীপ ঘোষের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!