এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ঘাসফুল-লালঝাণ্ডা সম্পর্ক আরও মজবুত! কোভিড আক্রান্ত তৃণমূল নেতাকে দেখতে ছুটলেন সিপিএম নেতা!

ঘাসফুল-লালঝাণ্ডা সম্পর্ক আরও মজবুত! কোভিড আক্রান্ত তৃণমূল নেতাকে দেখতে ছুটলেন সিপিএম নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের জন্ম সিপিএম বিরোধিতার মধ্যে দিয়ে। তাই সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক যে সব সময় থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। বর্তমানে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রধান বিরোধিতা থাকলেও, সিপিএমের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক যে খুব একটা ভালো নয়, তা নতুন করে কাউকে বলতে হবে না। কিন্তু বঙ্গ রাজনীতিতে “সৌজন্যতা” বলে একটি বিষয় রয়েছে।

একসময় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নাম নিজের মুখে না আনলেও, পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে সেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অসুস্থতার খবর পেয়ে তার বাড়িতে গিয়ে সৌজন্যতা দেখিয়ে এসেছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি যখন চরম আকার ধারণ করছে এবং আক্রান্ত হচ্ছেন রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিরা, ঠিক তখনই বিরোধী দলের নেতাকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন এক সিপিএম নেতা। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দ্বৈরথের মাঝেও সৌজন্যের নজির স্থাপন করল বলেই মনে করছেন সকলে।

সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন অশোকনগর পৌরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা প্রবোধ সরকার। সেইমত কলকাতার বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাকে। আর শনিবার দুপুরে রাজনৈতিক সৌজন্যতার পরিচয় দিয়ে তৃণমূলের সেই প্রশাসককে দেখতে নার্সিংহোমে হাজির হন অশোকনগরের সিপিএম নেতা চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস। যেখানে তার সাথে সেই হাসপাতালে উপস্থিত হন 21 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলার ভবতোষ হালদার।

পিপিই পড়ে বাইরে দাড়িয়েই ফোনে অসুস্থ তৃণমূলের প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেন তারা। তার শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন এই সিপিএম নেতা। স্বভাবতই বিধানসভা নির্বাচন যখন এগিয়ে আসছে, যখন এক রাজনৈতিক দল অপর রাজনৈতিক দলকে টেক্কা দিতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই রাজনৈতিক দলাদলির মাঝেও অসুস্থ পৌর প্রশাসককে দেখতে এইভাবে সিপিএম নেতাদের হাসপাতালে চলে আসা বড়সড় সৌজন্যের আবহ তৈরি করল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়। কিছুদিন আগেই হাবরা পৌরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশাসক নিলিমেশ দাস করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর তারপরেই তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটেছিলেন সেখানকার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা সিপিএমের ঋদ্ধিরঞ্জন বিশ্বাস। আর সেই সময় অসুস্থ তৃণমূল নেতাকে সৌজন্যতার খাতিরে সিপিএম নেতা দেখতে গেলেও, তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে।

আর এবার আরেক পৌরসভা তৃণমূল প্রশাসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে সেখানকার বিরোধী দলের সিপিএম নেতা তাকে দেখতে গেলেন, তাতে আবার নতুন করে রাজনৈতিক সম্প্রীতির ছবি সামনে চলে এল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ হিসেবে প্রথমে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলাদলি পিছনের সারিতে ফেলে রেখে রাজনীতির দ্বৈরথের মাঝেও সৌজন্যে বার্তা ফুটে উঠুক, এটাই কাম্য।

বেঁচে থাকলে অবশ্যই রাজনীতি থাকবে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংকটকালেও যদি তা নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব জিইয়ে থাকে, তাহলে সৌজন্যতা মিলিয়ে যাবে। তাই বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে সৌজন্যের খাতিরে তাদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছেন বিরোধী দলের নেতারা, তা অবশ্যই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে শিক্ষণীয় বার্তা পৌঁছে দেবে বলেই মত সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!