এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > গেরুয়া ঝড়ের টানে তৃণমূল-বামফ্রন্ট থেকে দলে-দলে যোগ বিজেপিতে? অভিমানে বসে যাচ্ছেন আদিকর্মীরা?

গেরুয়া ঝড়ের টানে তৃণমূল-বামফ্রন্ট থেকে দলে-দলে যোগ বিজেপিতে? অভিমানে বসে যাচ্ছেন আদিকর্মীরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে গেছে। তৃণমূল থেকে শুরু করে বামফ্রন্টের অনেক নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত যোগ দিচ্ছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর এককালে যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতাকর্মীদের, তারাই এখন দলে আসায় রীতিমত হতাশ বিজেপির পুরনো কর্মীরা। যার ফলে অনেকেই এখন বসে পড়েছেন। আর এটাই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। বিজেপির কাছে এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, পুরনো নেতাকর্মীরা তাদের কাছে সম্বল, নাকি ক্ষমতা দখল করতে অন্য দল থেকে আসা নেতাকর্মীদের বেশি প্রশ্রয় দেবে বিজেপি?

যদি এই দুয়ের মধ্যে বিজেপিকে কোনো একটা বেছে নিতে হয়, তাহলে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে তাদের অনেকটাই বেগ পেতে হতে পারে। বিজেপির একাংশ বলছেন, এককালে ঝাড়গ্রামে যারা দলের ভিত তৈরি করেছিলেন, তারা এখন দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন। তাই অনেকে এখন ক্ষোভে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে শুরু করেছেন‌। স্বাভাবিকভাবেই পুরনো নেতাকর্মীরা যদি এইভাবে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করতে শুরু করেন, তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি শুধুমাত্র তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের নিয়ে কিভাবে রাজ্যে পরিবর্তন করবে, সেটা অনেকের কাছেই প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2011 সালের বিধানসভা ভোটে ঝাড়গ্রামে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিজয় মাহাত। তখন তার নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন বিজেপি কর্মী গুণধর মাহাতো। আর তখন জেলা সম্পাদক ছিলেন প্রাক্তন সেনা কর্মী অমল কর এবং জেলার সভাপতি ছিলেন পঞ্চানন হাঁসদা। তবে 2011 সালের নির্বাচনের পরে প্রখ্যাত ব্যবসায়ীর শ্যামল দে বিজেপিতে যোগদান করলে তাকে দলের কৃষক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে স্বপন মাহাতো নামে এক ব্যক্তি বিজেপিতে যোগ দিয়ে জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব পান। অন্যদিকে 2016 সালে বিধানসভা ভোটে ঝাড়গ্রামে প্রার্থী হন অজয় কুমার সেন। আর বর্তমানে এই স্বপন মাহাতো থেকে শুরু করে অজয় কুমার সেন যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। স্বাভাবিকভাবেই তারা দলের পুরোনো নেতাকর্মী হওয়া সত্ত্বেও, কেন এভাবে তারা ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিচ্ছেন! এখন তা প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যদিওবা এই ব্যাপারে স্বপনবাবু বলেন, “বিজেপিতে থেকে অপমানিতবোধ করেছিলাম। তাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি।” স্বাভাবিকভাবেই দলের পুরোনো নেতাকর্মীরা যদি বিধানসভা নির্বাচনের আগে এভাবে ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করতে শুরু করেন, তাহলে বিজেপি কতটা শক্তিশালী হবে, তা নিয়ে রীতিমতো সংশয় তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

কিন্তু এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে বিজেপি কিভাবে বিজেপি ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত মাহাতো বলেন, “পঞ্চাননবাবুর বয়স হয়ে গিয়েছিল। তাই সভাপতি বদল হয়েছে। পুরোনো কেউ দল ছাড়েননি। কাউকেই অসম্মান করা হয়নি।” তবে মুখে বিজেপি নেতৃত্ব যে কথাই বলুন না কেন, দলের নেতাকর্মীদের এইভাবে বিজেপি ত্যাগ করাতে তারা যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে, তা বলাই যায়।

কেননা যেভাবে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নেতাকর্মীরা আসছেন, তাতে বিজেপির পুরনো নেতাকর্মীরা অনেকটাই অসন্তুষ্ট। স্বাভাবিকভাবেই এই কারণে এখন বিজেপি ত্যাগ করতে শুরু করেছেন তারা। যার ফলে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। এখন বিজেপি এই দলত্যাগ আটকাতে এবং পুরনো কর্মীদের মানভঞ্জন করতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!