এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > গেরুয়া শিবিরে আবার ভাঙনের ইঙ্গিত, প্রশ্ন উঠছে বিজেপি বিধায়কের আচরণ নিয়ে

গেরুয়া শিবিরে আবার ভাঙনের ইঙ্গিত, প্রশ্ন উঠছে বিজেপি বিধায়কের আচরণ নিয়ে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গেরুয়া শিবিরে এখনো ভাঙনের চোরা স্রোত বইছে। সম্প্রতি গেরুয়া শিবিরে সাংগঠনিক বদল আনা হয়েছে। আর সেখানেই সর্বভারতীয় স্তরে জায়গা দেওয়া হয়েছে অনেককে। তার মধ্যে অন্যতম হলেন দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। কিন্তু গেরুয়া শিবিরে উল্লেখযোগ্য জায়গা পেলেও বিজেপি বিধায়ক এমন কাজ করলেন যা থেকে প্রবল রাজনৈতিক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও এই নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। সম্প্রতি দুবরাজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক দলকে না জানিয়ে তৃণমূলের ডাকা প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। আর তাই নিয়ে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে বঙ্গ বিজেপিতে।

উচ্চপদ পাওয়ার পরেও তৃণমূলের সঙ্গে নৈকট্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ডাকে সাড়া দিতেই অনুপ সাহা পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রশাসনিক বৈঠকে। কার্যত বীরভূম মানে অনুব্রত মণ্ডলের দুর্গ। সেখানে একচ্ছত্র অধিপতি হলেন অনুব্রত মণ্ডল। কার্যত গোটা জেলা জুড়ে তাঁর দাপট রীতিমতো তুঙ্গে। পাশাপাশি কোন প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধীদের ডাকা হয় না বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার জেলার উন্নয়নমূলক বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক।

কার্যত একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বীরভূমের এগারটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র একটিতে বিজেপি জয় পেয়েছে, আর সেটি হল দুবরাজপুর। সেখানকার বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা প্রশাসনের তরফে উন্নয়নমূলক বৈঠকে ডাক পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে অনুপ সাহা দলবদল করতে পারেন বলে খবর ছিল আগেই বিজেপির কাছে। তাই তাঁকে আটকে রাখার জন্যই বিজেপি তাঁকে উল্লেখযোগ্য পদে বসিয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু জেলা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, প্রশাসনিক বৈঠকের যোগ দেওয়ার কথা বিধায়ক কিছুই তাঁদের জানাননি। রাজ্য বিজেপির অন্দরেও একই অভিযোগ উঠেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন, প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেওয়া কি শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার খাতিরে, নাকি এর পেছনে চলছে অন্য কোনো হিসাব নিকাশ? শুক্রবার সিউড়ি জেলাশাসকের দপ্তরে প্রশাসনিক উন্নয়নমূলক বৈঠকে বিজেপি বিধায়ক তাঁর এলাকার একাধিক সুবিধা অসুবিধার কথা বলেন এবং সেগুলি মন দিয়ে শোনা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন নিজেই। সবথেকে উল্লেখযোগ্য হলো, বৈঠকের পর বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় জানিয়েছেন, সবথেকে বেশি কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে বৈঠকে দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহাকে। এবং বিজেপি বিধায়ক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের প্রস্তাব দিয়েছেন।

এক্ষেত্রে তৃণমূল সাংসদের গলায় বিজেপি বিধায়কের জন্য কোথাও যেন প্রচ্ছন্ন প্রশংসার সুর শোনা গেল। আর সেখান থেকেই সন্দেহের শুরু। এমনিতেই বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় তৃণমূলে চলে যাওয়ায় গেরুয়া শিবির যে বিপাকে পড়েছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এবার যদি দুবরাজপুরের বিধায়ক তৃণমূলে চলে যান, তাহলে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি যে দুর্বল হয়ে গেছে তা অস্বীকার করার কোন জায়গাই আর থাকবে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে গেরুয়া শিবির এবার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!