এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > গেরুয়া শিবিরের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন আটকাতেও মরিয়া পুলিশ? ৩২ কর্মীর গ্রেপ্তারি ঘিরে প্রশ্ন

গেরুয়া শিবিরের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন আটকাতেও মরিয়া পুলিশ? ৩২ কর্মীর গ্রেপ্তারি ঘিরে প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজকের দিনটি স্বাধীনতা দিবস – সমস্ত ভারতবাসীর কাছে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন হলেও, সাম্প্রতিক করোনা সংক্রমনের ভয়াবহতার কারণে এ বছরের স্বাধীনতা দিবস পালন অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ভাবে করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। আজ দিল্লির লালকেল্লায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে নামমাত্র ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান, উত্তোলিত হয়েছে জাতীয় পতাকা। রাজ্যের অবস্থাও একই। রেড রোডে মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এবারের করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বারবার সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু এরপরেও অভিযোগ উঠেছে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে হুগলির শ্রীরামপুরে পায়ে-পা মিলিয়ে মিছিল করতে দেখা গেল বিজেপি ও হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যদের। করোনার কারণে সামাজিক দূরত্বের বিধি মান্য করতে বিজেপি ও হিন্দু জাগরণ মঞ্চর এই শোভাযাত্রায় বাধা দিতে আসে রাজ্যের পুলিশ। শেষ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে বচসা ও সংঘর্ষ শুরু হয় গৈরিক শিবিরকর্মীদের।

সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজকের দিনে শ্রীরামপুরের নওগাঁ মোড় থেকে শেওড়াফুলি পর্যন্ত শোভাযাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি। তাদের এই শোভাযাত্রায় বাধা দান করে পুলিশ। তবে অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের নির্দেশ অমান্য করেই শোভাযাত্রা এগিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেন ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী ও সমর্থকরা। এই কারণে পুলিশের সঙ্গে তাদের ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ঝগড়া ক্রমশ বাড়তে বাড়তে রূপ নেয় তা ধস্তাধস্তির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শেষ পর্যন্ত কয়েকজন বিজেপি সদস্যকে গ্রেফতার করে তাদের শ্রীরামপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এখনো পর্যন্ত শ্রীরামপুর থানায় ৩২ জন বিজেপি কর্মী আটক রয়েছেন। অন্যদিকে আজ চুঁচুড়া জেলার হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মী সমর্থকরা চুঁচুড়ার খাদিনামোরে একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। অভিযোগ উঠেছে পুলিশের অনুমতি না নিয়েই ওই মিছিলে কয়েকশো মানুষ যোগদান করেছিলেন। কিন্তু দেশের করোনা পরিস্থিতির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতেই এই মিছিলেও বাধা দান করে পুলিশ।

এক্ষেত্রেও মিছিলে বাধা দান করায় পুলিশের সঙ্গে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে খাদিনামোর এলাকা। এছাড়া হিন্দু জাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ উঠেছে যে, তাদের ঐ মিছিলে ৩০০ ফুট দৈঘ্যের একটি বিরাট জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক অসিত কুমার মজুমদার বলেছেন, “এই ধরনের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা অনুচিত।” যদিও হিন্দু জাগরণ মঞ্চ জাতীয় পতাকার অবমাননা করার বিধায়কের অভিযোগটি সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিয়েছে ।

এ সম্পর্কে তাদের দাবি, কোন ভাবেই তারা জাতীয় পতাকার কোনরূপ অবমাননা করেননি। তবে দেশের সর্বত্র করোনা বিধি বলবৎ থাকবার পরেও কেন এত বড় মিছিলের আয়োজন করল গৈরিক শিবির সে বিষয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করে দিয়েছে। উল্টোদিকে, গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, গেরুয়া শিবিরের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন আটকাতেও কি মরিয়া পুলিশ? বিজেপির সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানের জন্যই নাকি স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের দায়ে তাঁদের ৩২ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!