এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > গেরুয়া শিবিরে বড়সড় ভাঙন ধরালো তৃণমূল, ব্যাপক চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে

গেরুয়া শিবিরে বড়সড় ভাঙন ধরালো তৃণমূল, ব্যাপক চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য রাজনীতি তো এই মুহূর্তে চলছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক টানাপোড়েন। প্রতিপক্ষ হিসেবে ময়দানে নেমেছে যুযুধান দুই রাজনৈতিক শিবির তৃণমূল এবং বিজেপি। তবে এবারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নজর টেনেছে রাজ্য জুড়ে চলা ব্যাপক দলবদল। তৃণমূল শিবির থেকে একের পর এক হেভিওয়েট নেতাদের দলবদল নিয়ে রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। কিন্তু তার মধ্যেই এবার উলটপুরাণ। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা দলে থেকে কাজ করতে পারছেন না বলে একের পর এক বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু এবার পূর্ব বর্ধমানের কালনায় দলবদল্কারী বিজেপি নেতার গলায় শোনা গেল একই কথা।

দলে থেকে কাজ করতে পারছেন না অভিযোগ জানিয়ে গেরুয়া শিবির ছাড়লেন বিজেপির যুব মোর্চার এক নেতাসহ প্রায় 300 বিজেপি সমর্থক পরিবার। সবাইকে নিয়ে উক্ত বিজেপি নেতা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। প্রসঙ্গত, সোমবার কালনা 2 ব্লকের বাদলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গেরুয়া শিবিরের প্রায় 300 পরিবার তৃণমূলে যোগদান করলেন। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা গোপাল ভট্টাচার্য। কালনা 2 ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ে এই দলবদল অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র দেবু টুডু এবং ব্লক সভাপতি প্রণব রায়। এদিন তৃণমূলে যোগদান করে গোপাল ভট্টাচার্য গেরুয়া শিবিরের প্রতি তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি জানিয়েছেন, গেরুয়া শিবিরে থেকে কাজ করা যাচ্ছেনা। পরিবেশ সেরকম নেই। তাই তৃণমূলের এলেন তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হতে। তৃণমূলে এসেই গোপাল ভট্টাচার্য এদিন জানিয়ে দিয়েছেন, গেরুয়া শিবিরে চলছে ব্যাপক ভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কার্যত তিনটি গোষ্ঠীর মধ্যে চলছে এই দ্বন্দ্ব। আর তারপরেই রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র গুঞ্জন। তিনটি গোষ্ঠী বলতে কাদেরকে বলা হচ্ছে, তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও গোপাল ভট্টাচার্য আলাদা করে কারোর নাম এদিন করেননি। অন্যদিকে এই দলবদলের সূত্রে তৃণমূল মুখপাত্র দেবু টুডু জানান, আর কিছু দিনের অপেক্ষা মাত্র।

তারপরে কালনা হয়ে যাবে বিজেপি শূন্য। কয়েকজন দুর্নীতিগ্রস্ত ছাড়া বিজেপিতে আর কেউ থাকবে না। অন্যদিকে একই ব্লকের বিজেপি নেতা সুভাষ পাল জানিয়েছেন, গোপাল ভট্টাচার্য নামক নেতাকে বেশ কিছুদিন আগে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সুভাষ পাল এদিন অস্বীকার করেছেন  300 বিজেপি সমর্থক পরিবারের তৃণমূলে যোগ দেওয়া। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কালনা এলাকায় এই বিপুল দলবদলের ফলে তৃণমূল কিন্তু শক্তি সঞ্চয় করল বেশ কিছুটা যা তাঁদের এই মুহুর্তে অত্যন্ত প্রয়োজন গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষেত্রে। তবে সঞ্চিত শক্তি তৃণমূল কতদিন ধরে রাখতে পারে, এখন সেটাই দেখার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!