এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ঘর শত্রু বিভীষণ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন সিআইডি , জেনে নিন

ঘর শত্রু বিভীষণ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন সিআইডি , জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে সম্প্রতি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার হত্যা নিয়ে। ইতিমধ্যেই এই হত্যার তদন্তে নেমেছে রাজ্য গোয়েন্দা দপ্তর ওরফে সিআইডি। কিন্তু সিআইডির তদন্তের সূত্র ধরে এবার এমন একটি তথ্য প্রকাশ পেয়েছে যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার অন্দরে তীব্র চাপান-উতোর। জানা যাচ্ছে, মনীশ শুক্লার হত্যার তদন্ত শুরু হতে না হতেই তথ্য বেরিয়ে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। তাই এবার শুরু হয়েছে খোঁজ ঘর শত্রু বিভীষণের।

ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। প্রথম থেকেই অর্জুন সিং দাবি করে আসছেন মনীশ শুক্লা হত্যার ঘটনায় তাঁকে ফাঁসানোর চক্রান্ত করছে শাসকদল। আর অর্জুন সিং তাঁর এই দাবির প্রমাণ হিসেবে সম্প্রতি একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রীনশট সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অর্জুন সিং কে মনীশ শুক্লা হত্যার ঘটনায় চার্জশীট দেবার ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে। ঘটনা সামনে আসার সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায় ব্যাপক মাত্রায় চাঞ্চল্য। জানা যাচ্ছে যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে স্ক্রীনশট বাইরে এসেছে, সেই গ্রুপের সমস্ত সদস্যই রাজ্য পুলিশের 1998 এর ব্যাচের আধিকারিক।

অন্যদিকে সিআইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, অর্জুন সিং এর হাতে পুলিশ আধিকারিকদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট কি করে পৌঁছে গেল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয়ে গেছে গোয়েন্দা সংস্থার অন্দরমহলে। রাজ্য পুলিশের শীর্ষ এবং সিআইডি কর্তারা ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের প্রত্যেকের কাছে জবাবদিহি চেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আধিকারিকদের সন্দেহ, ওই গ্রুপের কোন সদস্যই ফাঁস করেছেন চ্যাটের কথোপকথন। তবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের আধিকারিকরা কিন্তু চ্যাট তথ্য প্রকাশের ঘটনা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁদের মতে, পুরো ঘটনাটি জাল স্ক্রীনশটের ফল। তবে পুলিশ শীর্ষ কর্তারা পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, যদি পুরো ঘটনাই জাল হয়, তাহলে স্ক্রীনশট প্রকাশ পাওয়ার পরেই কেন একের পর এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে? তার উত্তরে অবশ্য পুলিশ আধিকারিকরা কোন উত্তর দিতে পারেননি। অন্যদিকে তদন্তকারী আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, তাঁরা রাজনৈতিক ভাবে পরিচালিত হয়ে যদি তদন্ত করতেন, তাহলে এফআইআর-এ ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের 2 পুর প্রশাসকের নাম থাকত না জেরার তালিকায়।

তবে রাজ্য পুলিশ এক আধিকারিক এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এর আগেও পুলিশ আধিকারিকদের নিজস্ব গ্রুপ থেকে কথোপকথন বাইরে ফাঁস হয়েছে। অন্যদিকে সিআইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, শীর্ষ কর্তাদের সন্দেহ রাজ্য পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে অনেকেই ভেতরে ভেতরে যোগাযোগ রেখেছেন বিজেপির বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে এবং পুলিশের কথোপকথন ফাঁস করে দিচ্ছেন আগেভাগেই তাঁরা।  রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুলিশ আধিকারিকরা একে অপরকে এখন সন্দেহের চোখে দেখছে। একই সাথে চলছে গেরুয়া শিবিরের চরকে খুঁজে বার করার প্রক্রিয়া। যদিও এ নিয়ে সিআইডির কোন আধিকারিক কোনো মন্তব্য করেননি। তবে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে আইপিএসদের সতর্ক করা হয়েছে।

যেকোনো আলোচনা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু তারপরেও রাজ্য পুলিশ শীর্ষ কর্তাদের চিন্তা যাচ্ছে না। অন্যদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে সিআইডি এবং রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের চর পুলিশের অন্দরে থাকা মোটেই ভালো চোখে দেখবে না রাজ্য প্রশাসন। আর তাই এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনার জের যে বহুদূর গড়াবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!