প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রতিবাদ যেন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিরোধীদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ। আর এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের যখন বিড়ম্বনা বাড়ছে, ঠিক তখনই সেই অস্বস্তিকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে প্রধামন্ত্রীর অন্যতম উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রীতিমত মাস্টারস্ট্রোক দিলেন অমরজিৎ সিনহা। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রশাসনিক স্তরে। হঠাৎ করে কেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিলেন, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছিলেন এই অমরজিৎ সিনহা। তাকে গ্রাম এবং সামাজিক উন্নয়নের সমস্ত প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কি এমন হল, যার কারণে তিনি তার পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন? ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে। তাদের দাবি, নরেন্দ্র মোদী এবং তার নেতা-নেত্রীদের মন মতো না চলতে পারলেই সমস্যা। আর সেই কারণেই হয়তো বা দক্ষ আমলা হিসেবে পরিচিত অমরজিৎ সিনহা তার পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন। যদিও বা কেন তিনি সেই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, সেই ব্যাপারে কোনো কারণ সামনে আসেনি।

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, শুধু অমরজিৎ সিনহা নন। এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর আরও এক মুখ্য উপদেষ্টা নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। আর তার কয়েক মাসের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর আর এক উপদেষ্টার পদ থেকে অমরজিৎ সিনহার ইস্তফা নিঃসন্দেহে গুঞ্জন বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে। যার জেরে অনেকে বলছেন, তাহলে কি বিরোধীদের অভিযোগ সত্যি? সত্যিই কি এই সমস্ত দক্ষ প্রশাসনিক কর্তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করতে পারছিলেন না!

.আর সেই কারণেই তারা একের পর এক নিজেদের পদ ছাড়তে শুরু করেছেন? একাংশের দাবি, যে কারণেই হোক, অমরজিৎ সিনহা যেভাবে তার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তাতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী যে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গেলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।