এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ঘর গুছোনো দূরের কথা, পার্থ-ভূষণ দ্বন্দ্বে কুচবিহারে আরও বেকায়দায় তৃণমূল? বাড়ছে অস্বস্তি?

ঘর গুছোনো দূরের কথা, পার্থ-ভূষণ দ্বন্দ্বে কুচবিহারে আরও বেকায়দায় তৃণমূল? বাড়ছে অস্বস্তি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবার বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় যাতে ভালো ফল করা যায়, তার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্বরা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে এবার জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে যেভাবে এই জেলার একাধিক তৃণমূল নেতারা সরব হতে শুরু করেছেন, তাতে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

ইতিমধ্যেই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ভূষণ সিং। স্বাভাবিকভাবেই তাকে পাল্টা চাপে রাখতে তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের অনুগামীরা। যেখানে ভূষন সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সরব হতে দেখা যাচ্ছে তাদের। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে এই ধরনের ঘটনা এখন রীতিমত বেকায়দায় ফেলে দিচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

জানা গেছে, জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের অনুগামীরা ভূষন সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে দাবি তুলেছেন, পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সকল সদস্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই ভূষণবাবু হকার উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই তার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন জেলা সভাপতির অনুগামীরা। আর তৃণমূলের দুই নেতার দ্বন্দ্ব এভাবে প্রকাশ্যে চলে আসায় শাসকদল কিভাবে আগামী দিনে বিজেপির বিরুদ্ধে কোচবিহার জেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই দেবে, এখন সেটাই বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃনমূলের একাংশের কাছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে পার্থপ্রতিম রায়ের অনুগামী কোচবিহার জেলা তৃনমূল সাধারণ সম্পাদক রাহুল রায় বলেন, “আমরা পৌরসভার তিনজন নবনিযুক্ত প্রশাসক বোর্ডের সদস্য শহরের হকার উচ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নই। এই ব্যাপারে কোনো আলোচনা আগে করা হয়নি। রাস্তার ধারে ব্যবসা করে সংসার চালাচ্ছেন এমন কিছু মানুষ আমাদের কাছে এসেছেন। তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। সকলের সঙ্গে কথা বলে নিলে ভালো হত। হকারদের পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করে তারপর এসব করলে ভালো হয়। হকার উচ্ছেদের ব্যাপারে মাইকিং হওয়ার পর আমরা তা জানতে পেরেছি। গোটা ঘটনা জেলাশাসক এবং মহকুমা শাসককে জানাব।”

আর এখানেই প্রশ্ন, কেন এইভাবে সকলের সঙ্গে আলোচনা না করে ভূষনবাবু একা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন! দলের একাংশ যেভাবে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলছে, তা কি সত্যি? এদিন এই প্রসঙ্গে রাহুল রায়ের তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করেছেন তিনি। ভূষন সিং বলেন, “এই বিষয়ে ওদের সঙ্গে আলোচনা করার দরকার নেই। এর আগেও এই কাজ হয়েছে। তার জন্য বেশ কয়েকটি মিটিং হয়েছে। সেখানেই এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। তখন তারা বোর্ড সদস্য ছিলেন না। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিলে ওদের ডাকা হবে। আগে তারা পৌরসভাকে জানুন, চিনুন। হকার উচ্ছেদ করে নিকাশি নালা পরিষ্কার না করলে বর্ষায় সমস্যা হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলছেন, সম্প্রতি বিভিন্ন দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে কোচবিহার জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা ভূষণ সিং। আর তারপর থেকেই শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোচবিহার জেলায় বাড়তে শুরু করেছিল। তবে সাম্প্রতিককালে যেভাবে ভূষণবাবুর বিরুদ্ধে পাল্টা পৌরসভা পরিচালনা নিয়ে নানা অভিযোগ করতে শুরু করলেন জেলা সভাপতির অনুগামীরা, তাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বৃদ্ধি পেতে শুরু করল।

স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে কোচবিহার জেলাজুড়ে, তাহলে সমস্যা সমাধান তো দূরের কথা, উল্টে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বড় বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিতে পারে শাসক শিবিরকে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসায় রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!