ঘরের মেয়ে ঘরে! লোকসভায় তৃণমূলের টিকিটে হেরে যাওয়া দাপুটে নেত্রী আবার ফিরলেন তৃণমূলেই! কংগ্রেস তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য August 13, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আবহে সংগঠনের জোর বাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে শাসকদল। ইতিমধ্যেই একুশে জুলাই এর শহীদ মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন 2021 এ আবার ফিরে আসতে চলেছে তৃণমূল রাজ্যে। তারপরে তৃণমূল শিবিরের ব্যাপক তোড়জোড় চোখে পড়ে। বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখেই ইতিমধ্যেই তৃণমূলে হয়ে গেছে ব্যাপক সাংগঠনিক রদবদল। পাশাপাশি সমান্তরালভাবে চলছে তৃণমূল শিবিরে প্রত্যাবর্তনের ঢেউ। এবার তৃণমূল শিবিরে দলবদল করে এলেন একদা তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী হেমা চৌবে। হেমা চৌবে হলেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন প্রয়াত সিপিআই দলের দলের সাংসদ নারায়ন চৌবের পুত্রবধূ। 2004 সালে লোকসভা নির্বাচনে পাঁশকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে হেমা চৌবে লড়াইতে নামেন। কিন্তু পাঁশকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই প্রার্থী গুরুদাস দাশগুপ্তের কাছে তিনি হেরে যান। এরপর তিনি কংগ্রেসে যোগদান করেন বলে জানা যায়। 2011 সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জোট প্রার্থী হিসেবে গড়বেতা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সিপিএমের দাপুটে নেতা সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামেন তিনি। কিন্তু সামান্য ভোটের ব্যবধানে তিনি হেরে যান। এতদিন পর্যন্ত তিনি মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ছিলেন। সেইসঙ্গে তিনি ছিলেন অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির সদস্য। এবার তিনি দীর্ঘদিন পর আবার তৃণমূলে ফিরে এলেন। বুধবার খড়গপুর শহরের মালঞ্চ এলাকায় তৃণমূলের এক কর্মীসভায় হেমা চৌবে সহ আরো বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকর্মী তৃণমূলে যোগদান করলেন বলে জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দলে স্বাগত জানান তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক প্রদীপ সরকার, রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নির্মল ঘোষ, দেবাশীষ চৌধুরী সহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস শিবির থেকে যেভাবে তৃণমূলের ফিরে আসছেন নেতাকর্মীরা তাতে তৃণমূলের সংগঠন যে আরও জোরদার হচ্ছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূল যেভাবে ধীরে ধীরে সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে তা কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীদের যথেষ্ট চাপের মুখে ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এখনো পর্যন্ত মেদিনীপুরের কংগ্রেস শিবিরের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এই দলবদল প্রসঙ্গে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্বল সংগঠনের কারণে কংগ্রেসে এমনিতেই ভাঙ্গন ধরেছে। আপাতত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে যদি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করতে চায় কংগ্রেস শিবির তাহলে অবিলম্বে তাঁদের সংগঠনের ওপর কাজ করতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশরা। আপনার মতামত জানান -