এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > সাংসদ হয়েও ঘোরেনি মাথা, হুগলিতে ক্রমশ ঘরের মেয়ে হয়ে উঠছেন লকেট? হাসি চওড়া গেরুয়া শিবিরের?

সাংসদ হয়েও ঘোরেনি মাথা, হুগলিতে ক্রমশ ঘরের মেয়ে হয়ে উঠছেন লকেট? হাসি চওড়া গেরুয়া শিবিরের?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে জনসংযোগের ওপরই জোর দিতে দেখা গেছে শাসক এবং বিরোধী সব পক্ষকেই। সেখানে যখন শাসকদল প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় সাইকেল নিয়ে জনসংযোগে জোর দিয়েছে, সেখানে তার পাল্টা জবাবে স্কুটার চালিয়ে শুক্রবার সিঙ্গুরে জনসংযোগে যেতে দেখা গেছে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে।

বস্তুত, পিছনে ফিরে দেখতে গেলে অভিনেত্রী লকেট চ্যাটার্জি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই একসময় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে দেখতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁকে রাজনীতিতে যোগদান করার প্রথম পদক্ষেপ সঙ্গ দেন। আর এরপর মমতা ব্যানার্জি তাঁকে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন করেছিলেন।

কিন্তু কিছুদিন থাকার পর তৃণমূলের পরিবেশ দমবন্ধকর, এই অজুহাত দিয়ে তাঁকে তৃণমূল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতেই দেখা গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, এরপর তৃণমূল ত্যাগ করে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। যদিও সেই সময় তাঁর এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট সমালোচনা হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।

সেখানে অনেককেই বলতে শোনা গিয়েছিল, বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাঁকে আর রাজনীতিতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি হারিয়ে যাবেন বলেই সেই সময় মন্তব্য করা হয়। কিন্তু হাল ছাড়েননি লকেট চ্যাটার্জি। দাঁতে দাঁত চিপে রাজনীতির ময়দানে লড়ে গেছেন তিনি।

যদিও সেইসঙ্গে ফলও হাতেনাতে পেয়েছিলেন তিনি। বিজেপি তাঁকে নিজেদের দলের মহিলা শাখার রাজ্য সভানেত্রী করে দেয়। এরপর কার্যত গোটা রাজ্যজুড়ে ঝড় তোলেন তিনি। রাজ্যের যেখানেই মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা সামনে আসে, সেখানেই ছুটে গিয়ে তাঁকে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে।

তৃণমূলের বিরোধীতা করে অনেক জায়গায় জায়গায় তাঁর নিগৃহীত হওয়ার ঘটনা শোনা যায়। এরপরেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি হুগলির কেন্দ্র থেকে হেভিওয়েট প্রার্থী রত্না দে নাগকে হারিয়ে সাংসদ হন। যদিও সেই সময় তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছিল, তাঁর এই জয় তাৎক্ষণিক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর নাকি তাঁকে আর এলাকায় দেখা যাবে না। তবে ধীরে ধীরে তাঁকে হুগলির ঘরের মেয়ে হয়ে উঠতে দেখা গেছে। সম্প্রতি সিঙ্গুরের কাপাসারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন তিনি। সেইসঙ্গে সিঙ্গুরের উগারদহ কালী মন্দিরে পুজো দেন।

এরপর হুগলিতে দলের জেলা সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় এবং লকেটের নেতৃত্বে বিজেপির তরফে মিছিল করা হয় বলেও জানা যায়। সেই মিছিল কাপাসারিয়া শিবতলা থেকে আল্লাদী মোড় হয়ে তিসা ঘোষপাড়ায় শেষ হয় বলে জানা গেছে। এরপর সিঙ্গুরের বিজেপি কর্মী জগন্নাথ বাঙালের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেন তিনি।

তাঁর এই কর্মসূচির প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, “জনসংযোগে নেমেছি। সিঙ্গুরের মানুষ এবং সেখানকার চাষিদের মনের কথা জানতে দু’দিন ধরে তাদের সঙ্গে কথা বলছি।সিঙ্গুরের মানুষ মোদীর সঙ্গে আছেন।” সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, সিঙ্গুর থেকেই পদ্মফুল ফোটা শুরু হবে। তাঁর কথায়, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই অনেকে একের পর এক প্রশাসনিক পদ ছেড়ে দিচ্ছেন।

তাঁর মতে, তাঁদের ধরে রাখার ক্ষমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেই। তিনি কোনও ভাবেই তাঁদের ধরে রাখতে পারছেন না। সেইসঙ্গে আগামী দিনে যাঁরা সত্যিই মানুষের জন্য কাজ করতে চান তাঁদের জন্য বিজেপির দরজা খোলা আছে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানের অন্যতম ঘর ছিল সিঙ্গুর।

সেখানের আন্দোলনের মাধ্যমেই তিনি রাজনীতিতে নিজের স্বাক্ষর রেখে গিয়েছেন। আর সেখানেই লকেট চ্যাটার্জির এভাবে জনসংযোগের জেরে তিনি ক্রমশ যে সেখানকার ঘরের মেয়ে হয়ে উঠছেন, এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাই তাঁদের মতে, এভাবেই ওই অঞ্চলে সেখানকার সাধারণ মানুষের কাছে লকেট চ্যাটার্জির কথা আরো বেশি করে গ্রহণযোগ্য হবে।

আর সেটা যে বিধানসভা ভোটে আলাদা করে প্রভাব ফেলবে সেটা বলাই বাহুল্য। আর সেখানে বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে থাকবে সে কথাও অস্বীকার করা যায় না। আর যদি এই সম্ভাবনা সত্যি হয়, সেখানে তৃণমূলের যে ঘুম উড়বে সেই কথাই মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!