ঘুম ওড়াচ্ছে রাজ্যে ফেরত আসা পরিযায়ী শ্রমিকরা! নজর রাখতে ত্রিস্তরীয় বিশেষ ব্যবস্থা প্রশাসনের কলকাতা রাজ্য June 3, 2020 বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সব থেকে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ভিন রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকরা এখন রাজ্যে ফিরতে শুরু করেছেন। আর সেই সমস্ত শ্রমিকদের শরীরে করোনা ভাইরাস থাকার প্রবল আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই একেবারে এত শ্রমিককে রাজ্যে ফেরানো নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের পাঁচ রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর নজরদারি চালানোর জন্য ত্রিস্তরীয় টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। জানা গেছে, বিভিন্ন জেলা, পৌরসভা এবং ব্লক পর্যায়ে এই টাস্কফোর্স তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে জেলায় জেলায় একটি নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। কিন্তু কি কাজ হবে এই টাস্কফোর্সের? জানা গেছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের ডাটাবেস তৈরি করা থেকে শুরু করে তাদের কোয়ারেন্টাইন রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা, এইসব ব্যাপারেই নজর রাখবে এই টাস্কফোর্স। যেখানে প্রতিটি জেলার জেলাশাসককে চেয়ারম্যান এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে এই কমিটির মেম্বার কনভেনর করে এটা টাস্কফোর্স তৈরি করা হবে। যেখানে থাকবেন জেলা পরিষদ এবং মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা শাসক এবং মহকুমা শাসকরা। তবে জেলার ক্ষেত্রে এই নিয়ম হলেও, পৌরসভায় টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান হবেন মহকুমার শাসক এবং মেম্বার কনভেনার হবেন অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এছাড়াও ওই কমিটিতে স্থানীয় বিধায়ক বা তার প্রতিনিধি, পৌরসভার মেয়র, চেয়ারম্যান বা তার প্রতিনিধি, পৌরসভার কমিশনার, পৌরসভায় এক্সিকিউটিভ অফিসার, স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং থানার ওসিদের রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ব্লক স্তরে গঠিত এই টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যানের ভূমিকায় থাকবেন বিডিও। আর মেম্বার কনভেনার হবেন ব্লক মেডিক্যাল অফিসার। আর অন্যান্য সদস্য হিসেবে বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদের সদস্য, শিশু বিকাশ প্রকল্পের অফিসার, থানার আইসি বা ওসি এবং ব্লকের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতরা প্রধান থাকতে পারবেন। আর জেলা থেকে শুরু করে পৌরসভা, পৌরসভা থেকে শুরু করে ব্লক স্তরে টাস্কফোর্স গঠনের উদ্যোগ রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে এসে কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন না বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যার ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক আকার নিচ্ছে। তাই সেদিক থেকে গোটা ব্যবস্থায় নজরদারি রাখতেই এই কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। তবে একদম নীচুতলায় এই কমিটি গঠন করে রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে তৈরি হওয়া সমস্যার কতটা সমাধান করতে পারে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -