এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ঘূর্ণিঝড় আমপান বাড়িয়ে দিল করোনা সংক্রমণের ভয়! সাধারণ মানুষের আতঙ্ক বাড়ছে পাল্লা দিয়ে

ঘূর্ণিঝড় আমপান বাড়িয়ে দিল করোনা সংক্রমণের ভয়! সাধারণ মানুষের আতঙ্ক বাড়ছে পাল্লা দিয়ে


করোনা ভাইরাসের মধ্যেই রাজ্যে চলে এসেছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমপান। যার দাপটে কার্যত ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন এলাকা। কলকাতা থেকে শুরু করে দুই 24 পরগনা, মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় এই ঝড়ের তাণ্ডবে রীতিমতো হতাশ হয়ে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে করোনা মোকাবিলা করতে উদ্যত হওয়া, আর অন্যদিকে এই ঝড় চলে আসায় এখন কিভাবে পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়া যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন সকলেই।

তবে দুই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা গেলেও, এই ঝড়ের সঙ্গে করোনার তেমনভাবে কোনো মিল নেই। কিন্তু যথেষ্ট আশঙ্কার কারণ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে গবেষক প্রত্যেকের মধ্যেই একটা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে যে, বীভৎস ঝড় আমপানের দাপট কি করোনা সংক্রমণ বাড়িয়ে দেবে! অনেকে বলছেন, পরোক্ষভাবে করোনার সঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড়ের কিছুটা হলেও সম্পর্ক রয়েছে।

বস্তুত, বৃষ্টির ফলে সার্স কোভ 2 ভাইরাসের কোনো পরিবর্তন হয় কিনা, তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বিতর্কে সৃষ্টি হয়েছিল। আর সেই সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, পরিবেশগত বদলের সঙ্গে সঙ্গে সার্স কোভ 2 ভাইরাসের শক্তিশালী বা দুর্বল হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়নি। কিন্তু এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে যেভাবে অনেক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া গেছে, তাতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক দপ্তরের কমিউনিকেবল ডিজিজের প্রাক্তন অধিকর্তা রাজেশ ভাটিয়া বলেন, “ভাইরাসের মিউটেশনে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার প্রমাণ মেলেনি মানে এই নয় যে, দুর্যোগের সময় সংক্রমণের ঝুঁকি থাকছে না। যে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়। এতে স্বাভাবিকভাবেই সংশ্লিষ্ট আশ্রয়স্থলে ভিড় হয়। ঠাসাঠাসি অবস্থায় শুরু করোনা কেন, স্পর্শ বা শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে যে কোনো প্যাথোজেনজনিত সংক্রমণের আশংকা থেকেই যায়।”

অর্থাৎ করোনা ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে এতদিন সামাজিক দূরত্বের কথা বলা হলেও, এক লহমায় তা এই ঝড়ের ফলে যে ভেঙে যাচ্ছে এবং তার ফলে যে করোনা ভাইরাস আরও বাড়তে পারে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে এক মাইক্রো বায়োলজিস্ট বলেন, “যে কোনো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় অপেক্ষাকৃত দুর্বল বাড়ি তছনছ করে দেয়। তখন সেই বাড়ির বাসিন্দাদের আশ্রয় মেলে ত্রাণশিবির বা অন্য কোনো জায়গায়। সেখানে অল্প পরিসরে অনেকে থাকতে বাধ্য হন। তখনই সংক্রামক রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাসকে নিয়ে আতঙ্ক এমনিতেই ছিল। তার মধ্যে এসে পড়েছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমপান। তবে এই ঝড় থেকে মানুষকে রক্ষা করতে নিরাপদ জায়গায় তাদের আনতেই হবে। কিন্তু অনেকে যদি এক জায়গায় চলে আসেন, তাহলে সামাজিক দূরত্ব যেমন বিঘ্নিত হবে, ঠিক তেমনই সেই করোনা সংক্রমণ বাড়বে। ফলে যে পদ্ধতিই অবলম্বন করা হোক না কেন, তাতে প্রতিনিয়ত যে একটার পর একটা বিরম্বনা বাড়তে শুরু করেছে, তাতে আশঙ্কা রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!