ঘূর্ণিঝড় নয়, করোনার মধ্যেই নতুন বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্য? আগাম সতর্কতা জারি করলেন মমতা! কলকাতা রাজ্য May 16, 2020 একদিকে করোনা, অন্যদিকে ডেঙ্গু- সাঁড়াশি আক্রমণে এবার কাবু হতে চলেছে রাজ্যবাসী, বলে মনে করা হচ্ছে। করোনা আমাদের কাছে সদ্য পরিচিত হলেও ডেঙ্গু কিন্তু আমাদের কাছে চিরপরিচিত। প্রত্যেক বছরই এই সময়টায় মারাত্মক আকার ধারণ করে ডেঙ্গু। এবছরেও আগে থেকে রাজ্য সরকার সাবধান করতে শুরু করেছে রাজ্যবাসীকে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। তার মধ্যে যদি আবার নতুন করে ডেঙ্গু এসে হাজির হয়, তাহলে অবস্থা যে চূড়ান্ত শোচনীয় হয়ে উঠবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যেই অবশ্য গরম বাড়ার সাথে সাথে একটু একটু করে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন ডেঙ্গু নিয়ে সতর্ক থাকতে। প্রত্যেক বছরই গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। ঠিক একইভাবে এবারেও গরম পড়তে শুরু করেছে, তাই ডেঙ্গু নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় ডেঙ্গু দিবসে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে করোনা আবহের মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীরা ডেঙ্গু নিয়েও খোঁজখবর চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এই নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকেই এসেছে বলে খবর। অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা আক্রান্তের খোঁজ খবর নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন, সে খবরও মিলবে। সূত্রের খবর, বাংলাদেশে হঠাৎ করে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সাবধান করা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, ইতিমধ্যে বাণিজ্যিক কারণে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। তাই করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়তে পারে। প্রথম থেকেই তাই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই হাওড়ায় করোনা সংক্রমণকে সাথে নিয়েও বিশেষ প্রচার অভিযান শুরু করেছেন পুর স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার এর মাঝেই করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি জ্বরে আক্রান্ত হলে তাঁর ডেঙ্গি পরীক্ষাও হচ্ছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে রাজ্যের হাসপাতালগুলি বেশিরভাগ ইতিমধ্যে করোনা হাসপাতলে রূপান্তরিত হয়েছে। তাই এবার যদি ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে হবে আক্রান্তদের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে করোনার মতোই ডেঙ্গুরও কোনো প্রতিষেধক এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তাই করোনা প্রতিরোধের পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধেও জবরদস্ত প্রচার চালানো হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলে জানা গেছে। আপনার মতামত জানান -