এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > ঘূর্ণিঝড় যশকে সামাল দিতে বিশেষ নির্দেশ, রাজ্য প্রশাসনের একের পর এক পদক্ষেপ

ঘূর্ণিঝড় যশকে সামাল দিতে বিশেষ নির্দেশ, রাজ্য প্রশাসনের একের পর এক পদক্ষেপ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আমফানের স্মৃতি এখনো দগদগে হয়ে রয়েছে বাংলায়। গত বছর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল করোনার ব্যাপক প্রভাব যা এখনো পর্যন্ত বহাল রয়েছে। অন্যদিকে গত বছর যেভাবে আমফান করোনার মধ্যেও, ঠিক সেভাবেই এবারেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সাথে সাথে হানা দিয়েছে যশ। আমফান এর জেরে যেভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বাংলা জুড়ে, সেক্ষেত্রে এবার হয়তো অতটা বিপদ হবেনা বলে আশ্বস্ত করছে আবহাওয়া দপ্তর। কিন্তু তা সত্ত্বেও সাবধানতার কোনো ত্রুটিই রাখছেনা রাজ্য প্রশাসন। তাই ঘূর্ণিঝড় যশকে মাথায় রেখেই সাধারণ মানুষের জন্য একগুচ্ছ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

যার মধ্যে অন্যতম হলো, কোনরকম গুজবে যেন কান না দেওয়া হয়। এবং রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদ-মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কিত যাবতীয় খবর এবং প্রশাসনিক সতর্কবার্তার দিকে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ কর্মীরাও জায়গায় জায়গায় বিদ্যুতের তার ঠিক করতে শুরু করেছেন। কিন্তু নিরাপত্তার খাতিরে সাধারণ মানুষকে বলে দেওয়া হয়েছে ঝড় বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটতে পারে। তাই মোবাইল, পাওয়ার ব্যাংক, ও অন্যান্য যদি কিছু চার্জ দেওয়ার মতো থাকে, তাহলে তা চার্জ করে রাখতে বলা হয়েছে। একইসাথে ভেঙ পড়া বৈদ্যুতিক স্তম্ভ, ছিঁড়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তার এবং রাস্তায় পড়ে থাকা ধারালো বস্তু সম্পর্কে সর্তকবার্তা জারি করেছে প্রশাসন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অবশ্যই হাতের কাছে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী, খাবার, ওষুধ, জল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় থেকে বাঁচার জন্য স্থানীয় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কিংবা পাকা বাড়িতে সরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে কাঁচা বাড়ির বাসিন্দাদের। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দুটি হেল্পলাইন চালু করেছে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর। প্রথমটি হলো 8900793503, পরেরটি হল 8900793504। আগামী 25 মে থেকে এই হেলপ্লাইন দুটি চালু হয়ে যাবে।

এবং সেদিন কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সহ বিদ্যুৎ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুরেশ কুমার ও বিদ্যুৎ বিভাগের সেরা সিএমডিরা। বিদ্যুৎ দপ্তরের চালু করা হেল্পলাইনে যদি কোনো অভিযোগ আসে, তাহলে তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত আম্ফান থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার রাজ্য প্রশাসনিক দপ্তর শুরু থেকেই যাবতীয় সমস্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। আপাতত দেখার ঘূর্ণিঝড় যশকে কতটা সামাল দিতে পারে রাজ্য প্রশাসন!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!